Main Logo
আপডেট : ১৯ অক্টোবর, ২০২৩ ১১:৩০

দুপুর আড়াইটায় বাংলাদেশ-ভারতের খেলা

জেতার কথাই ভাবছে বাংলাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
জেতার কথাই ভাবছে বাংলাদেশ

আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ২:৩০ মিনিটে শুরু হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ভারতের মধ্যকার ওয়ানডে ম্যাচটি। বিশ্বকাপের এ ম্যাচকে ঘিরে বাংলাদেশের মানুষের আগ্রহ ব্যাপক। কিন্তু ইতিহাস বলছে যতোবার বাংলাদেশ ভারত খেলা হয়েছে তাতে ভারতই বেশি জয় লাভ করেছে। তবে আশার কথা এবারেরর বিশ্বকাপে আফগানিন্তান, নেদারল্যান্ডস বড় দলকে হারিয়েছে। বাংলাদেশের দর্শকরা মনে করেন বাংলাদেশ দেখে শুনে খেললে ভারতকে হারানো অসম্ভব নয়। আজকের খেলা জিতে বাংলাদেশ ইতিহাস গড়বে বলে মনে করেন অনেকে।

ইতিহাস বলছে এ পর্যন্ত ভারতের বিপক্ষে একটি জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। তাও ১৬ বছর আগে, ২০০৭ সালে ত্রিনিদাদে। ওই আসরের মাধ্যমেই বিশ্বকাপ ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান এবং মুশফিকুর রহিমের। ২০০৭ সালের পর আরও তিনবার বিশ্বকাপে দেখা হয়েছিল দু’দেশের। সবকটিতেই হেরেছে বাংলাদেশ।
এবারের বিশ্বকাপে ভারত এখন পর্যন্ত তিনটি ম্যাচ খেলেছে ভারত। তিনটিতেই জয় পেয়েছে রোহিত শর্মার দল। প্রথম ম্যাচে হারিয়েছে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়াকে। দ্বিতীয় ম্যাচে তুলনামূলক দুর্বল প্রতিপক্ষ আফগানিস্তানের বিপক্ষে তুলে নিয়েছে সহজ জয়। সর্বশেষ আহামেদাবাদে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানকে দাঁড়াতেই দেয়নি স্বাগতিকরা, হারিয়েছে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে।
আজ পুনের মহারাষ্ট্র ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ভারতের বিপক্ষে টাইগারদের অভিজ্ঞতা ভালো কাজে দিতে পারে। এবারের বিশ্বকাপে মুশফিকুর রহিম এখন পর্যন্ত তিন ম্যাচ খেলে দুটিতে ফিফটি করেছেন। নাজমুল হোসেন শান্ত ও লিটন দাসের একটি করে দুর্দান্ত ইনিংস রয়েছে।
দলের প্রয়োজনে কার্যকরী ব্যাটার হিসেবে দেখা যেতে পারে মেহেদি হাসান মিরাজকে। এছাড়া বিশ্বকাপের আগে চলতি বছর ৫০০ রান করা ব্যাটার তাওহিদ হৃদয় থাকছেন মিডলঅর্ডারে। ভারতের বিপক্ষে সবসময় ভালো খেলা সিনিয়র মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও ভরসা জোগাতে পারেন সাকিবদের।
পেস আক্রমণে এবার বাংলাদেশ আগের যে কোনো আসরের চেয়ে শক্তিশালী। দলে রয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদের মতো বোলাররা। যদিও এখন পর্যন্ত বল হাতে তেমন কোনো ঝলক দেখাতে পারেননি তাসকিন। হাসান মাহমুদ এখনো মাঠে নামতে পারেননি।
 ১৯৮৮ সালে প্রথম আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ভারতের মুখোমুখি হয়েছিল টাইগাররা। সেটা ছিল ঘরের মাঠে, উইলস এশিয়া কাপে চট্টগ্রামের এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে। এরপর গত ৩৫ বছরে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশ ওয়ানডে খেলেছে ৪০টি। আটটিতে জয়, ৩১টিতে হার এবং একটি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছিল; কিন্তু আশ্চর্যজনক হলেও সত্য, গত ২৫ বছর ভারতের মাটিতে ‘স্বাগতিক ভারত’র বিপক্ষে কোনো ওয়ানডে ম্যাচ খেলার সুযোগ পায়নি টাইগাররা।
ভারতের বিপক্ষে তাদের মাটিতে এই ৪০ ম্যাচের মাত্র তিনটি ম্যাচে মাঠে নামার সুযোগ পেয়েছিল টাইগাররা। প্রথমবার ১৯৯০ সালে চন্ডিগড়ে, এশিয়া কাপে। এরপর সর্বশেষ ১৯৯৮ সালে ত্রিদেশীয় সিরিজে দুবার ভারতের মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ। একটি মোহালিতে, অন্যটি মুম্বাইর ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে। সিরিজে অন্য দলটি ছিল কেনিয়া।
১৯৯০ সালের ২৫ ডিসেম্বর এশিয়া কাপে চন্ডিগড়ে ভারতের কাছে ৯ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারে টাইগাররা। প্রথমে ব্যাট করে ফারুক আহমেদের ৫৭ এবং আতহার আলী খানের ৪৪ রানের ওপর ভর করে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৭০ রান করেছিল বাংলাদেশ। জবাবে নাভজত সিধুর ১০৪ রানের ওপর ভর করে ভারত ১ উইকেট হারিয়ে ৩৬.৫ ওভারেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায়।
১৯৯৮ সালে বাংলাদেশ-কেনিয়াকে নিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজের আয়োজন করে ভারত। সেবার মোহালিতে বাংলাদেশ প্রথম মুখোমুখি হয়েছিল স্বাগতিকদের। আমিনুল ইসলাম বুলবুলের ৭০ রানের ওপর ভর করে ৯ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ পেয়েছিল ১৮৪ রানের সংগ্রহ। জবাব দিতে নেমে ভারত ৫ উইকেট হারিয়ে ৪৫.২ ওভারেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায়।
পরের ম্যাচে মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ অলআউট হয়ে গিয়েছিল ১১৫ রানে।

উপরে