উড়তে থাকা আফগানিস্তানকে মাটিতে নামালো ওয়েস্ট ইন্ডিজ
আগের তিন ম্যাচের প্রতিপক্ষকে ১০০-এর মধ্যে অলআউট করেছিল আফগানিস্তান। তিন ম্যাচেই তারা পেয়েছিল দাপুটে জয়।
তবে উড়তে থাকা আফগানদের এবার মাটিতে নামিয়ে আনলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আফগানিস্তানের বোলারদের তুলোধোনা করে বিশ্বকাপের সহ-আয়োজকরা তুললো আসরের সর্বোচ্চ দলীয় রান। যে রানের নিচে চাপা পড়ে বিশাল ব্যবধানে হারলেন রশিদ খানরা।
সেইন্ট লুসিয়ার ড্যারেন স্যামি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজ গ্রুপ সি-এর শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও আফগানিস্তান। দুই দলেরই সুপার এইট নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় এই ম্যাচটি ছিল নিয়মরক্ষার। এমন ম্যাচেই ৫ উইকেটে ২১৮ রান করল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এটাই ক্যারিবীয়দের সর্বোচ্চ দলীয় রান এবং এবারের আসরে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ এটি। জবাবে ১৬.২ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে ১১৪ রান করতে পারে আফগানরা। ফলে ১০৪ রানে ম্যাচ জিতে স্বাগতিকরা জানিয়ে দিল এবারের আসরের শিরোপার দাবিদার তারাও। গ্রুপ পর্বের সবগুলো ম্যাচ জিতে সুপার এইটে যাচ্ছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
যে আফগান বোলাররা আগের তিন ম্যাচে প্রতিপক্ষ দলের ব্যাটারদের দাঁড়াতেই দেননি, আজ তারা পাত্তাই পাননি ক্যারিবীয় ব্যাটারদের কাছে। বিশেষ করে নিকোলাস পুরান ও জনসন চার্লস মিলে রীতিমতো তাণ্ডব চালিয়েছেন। অল্পের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেছেন পুরান। ৫৩ বলে ৯৮ রান করে রানআউটের শিকার হয়ে ফেরার আগে তিনি হাঁকিয়েছেন ৮টি ছক্কা ও ৬টি চার। চার্লসের ব্যাট থেকে আসে ২৭ বলে ৪৩ রান। এছাড়া শাই হোপ ১৭ বলে ২৫ ও রভম্যান পাওয়েল ১৫ বলে ২৬ রান করেন।
বল হাতে আফগানিস্তানের বোলাররা আগের তিন ম্যাচে ছিলেন প্রায় আনপ্লেয়েবল। কিন্তু আজ দেদারসে রান বিলিয়েছেন তারা। নূর আহমেদ ও গুলবাদিন নায়িব ছাড়া বাকিরা রান খরচ করেছেন ওভারপিছু ১০-এর বেশি।
এরপর বিশাল লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় আফগানিস্তান। আকিল হোসেনের করা প্রথম ওভারের তৃতীয় বলেই ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ওপেনার রহমানুল্লাহ গুরবাজ (০)। এরপর ক্যারিবীয় বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে আর লড়াইয়ে ফিরতে পারেনি আফগানিস্তান। সর্বোচ্চ ৩৮ রান করেন ওপেনার ইব্রাহীম জাদরান। বাকিদের মধ্যে বলার মতো রান পেয়েছেন কেবল আজমতউল্লাহ ওমরজাই (২৩)।
বল হাতে ৩ ওভারে ১৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ওবেদ ম্যাকয়। এছাড়া আকিল হসেন ও গুদাকেশ মতি ঝুলিতে পুরেছেন ২টি করে উইকেট। আন্দ্রে রাসেল ও আলজারি জোসেফ পেয়েছেন ১টি করে উইকেট।