আফগানিস্তানের সঙ্গে ২১হেরে গেল অস্ট্রেলিয়া
আফগানিস্তানের সঙ্গে টি টুয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার এইট পর্বে ২১..রানে হেরে গেল অস্ট্রেলিয়া। প্রথমে ব্যাট করে আফগানিস্তান ১৪৮ রান করে। জবাবে অস্ট্রেলিয়া সব উইকেট হারিয়ে ১২৭ রান করতে সমর্থ হয়। আফগানিস্তান জেতে ২১ রানে। আফগানিস্তানের সামনে এখন সেমি ফাইনাল খেলার হাতছানি।
আজকের খেলায় অস্ট্রেলিয়ার ম্যাক্সওয়েল ছাড়া আর কেউ সেভাবে দাড়াতেই পারেনি আফগানিস্তানের বিধ্বংসি বোলিংয়ের সামনে। দলীয় ১১৩ রানের মাথায় ৯বম উইকেটের পতন হয়। আসেন অ্যাডাম জাম্পা। তিনি একটি চারের মার মারেন। শেষ ওভারে দরকার হয় ২৪ রানের।
কিংসটাউন্সে আজ আফগানিস্তানের বিপক্ষে ১৮তম ওভারের শেষ বলে রশিদ খানকে সাজঘরে ফেরান কামিন্স। তাকে উড়িয়ে মারতে চাইলেও লং অনে টিম ডেভিডের হাতে ধরা পড়েন রশিদ। ইনিংসের শেষ ওভারও কামিন্সের হাতে বল তুলে দেন অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক মিচেল মার্শ। ওভারের প্রথম বলেই করিম জানাতকে শিকার করেন ডানহাতি এই পেসার। এবারও লং অনে সেই ক্যাচ নেন ডেভিড। হ্যাটট্রিক বলে ঠিকমতো টাইমিংস করতে পারেননি গুলবাদিন নায়েব। ক্যাচ তুলে দেন লেগে থাকা গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের কাছে। পরের বলে ডাবল হ্যাটট্রিকের খুব কাছাকাছিও চলে গিয়েছিলেন কামিন্স। কিন্তু নানগেয়ালি খারোতের ক্যাচ ফেলে দেন ডেভিড ওয়ার্নার।
ডাবল হ্যাটট্রিক করতে না পেরে অবশ্য আক্ষেপ নেই কামিন্সের! আগের ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মাহেদী হাসান ও তাওহীদ হৃদয়কে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন তিনি। যদিও হ্যাটট্রিক করার আগে তেমন কোনো ধারণাই ছিল না তার। আজ অবশ্য সে কথা জানালেন না।
ডানহাতি এই পেসার বলেন, 'হ্যাঁ, (হ্যাটট্রিক হয়েছে কি না) এবারেরটা জানতাম। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে একশরও বেশি ম্যাচ খেলার পর টানা দুই ম্যাচে হ্যাটট্রিক পাওয়াটা পাগলামি। '
টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে এর আগে কেবল চারজন বোলারই দুটি করে হ্যাটট্রিকের কীর্তি গড়েছেন। এবার সেই ক্লাবে যোগ দিলেন কামিন্সও। তার আগে সেখানে নাম লিখিয়েছেন শ্রীলঙ্কার লাসিথ মালিঙ্গা, নিউজিল্যান্ডের টিম সাউদি, সার্বিয়ার মার্ক পালভোভিচ ও মাল্টার ওয়াসিম আব্বাস।