সেমিতে আফগানিস্তানকে হারিয়ে ফাইনালে দক্ষিন আফ্রিকা
টি টুয়েন্টি বিশ্বকাপে আজ সকালে সেমি ফাইনালে ৯ উইকেটে আফগানিস্তানেক হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে দক্ষিন আফ্রিকা। আফগানিস্তান করেছিল মাত্র ৫৬ রান। ৫৭ রানের টার্গেট নিয়ে মাঠেনামে দক্ষিন আফ্রিকার ব্যাটাররা। শুরুতেই চাপে পড়ে দক্ষিন আফ্রিকা। ৩ ওভারে তারা তুলেছিল মাত্র ৬ রান/। হারিয়েছিল ডি ককের উইকেট। তবে এইডেন মার্করান ও হেনড্রিকস তা সামলে উঠে। ৮.৫ ওভারে ৬০ রান করে দক্ষিন আফ্রিকা।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকা-আফগানিস্তান ম্যাচটি শুরু হওয়ার আগে কেউ কেউ একটি ব্যাপার আন্দাজ করে নিয়েছিলেন। একদিকে এর আগে কখনো বিশ্বকাপের এই পর্যায়ে উঠে না আসা আফগানিস্তান, অন্য দিকে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে একাধিকবার পোড় খাওয়া দক্ষিণ আফ্রিকা। অর্থাৎ আফগানিস্তান যদি এমন বড় ম্যাচের চাপ নিতে পারে তবে তাদেরও ফাইনালে ওঠার ভালো সুযোগ আছে। কারণ দক্ষিণ আফ্রিকা তুলনামুলক শক্তিশালি দল হলেও অতীতে সেমিফাইনালে এসে ভেঙে পড়েছে।
কিন্তু ত্রিনিদাদের ব্রায়ান লারা স্টেডিয়ামে ঘটল ঠিক উল্টোটা। সেমিফাইনালে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ল আফগানিস্তান। দক্ষিণ আফ্রিকা সেই সুযোগে ৯ উইকেটের জয়ে প্রথমবারের মতো উঠল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে। ১৯৯৮ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জয়ের পর আইসিসির ইভেন্টে এবারই প্রথম ফাইনালে উঠল দক্ষিণ আফ্রিকা।
টস জিতে একটু কঠিন উইকেটে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে মাত্র ৫৬ রানে অলআউট হয় আফগানিস্তান। ৮.৫ ওভারেই এই রান তাড়া করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠার পথে দ্বিতীয় ওভারে কুইন্টন ডি কককে (৫) হারায় প্রোটিয়ারা। আফগান পেসার ফজলহক ফারুকির বলে বোল্ড হন বাঁহাতি এই ওপেনার। চার বল পর নাভিন-উল-হকের (২.৪ ওভার) বলে উইকেটকিপার রহমানউল্লাহ গুরবাজকে ক্যাচ দিয়েছিলেন এইডেন মার্করাম। ব্যাটের কানা ছুঁয়ে গুরবাজের গ্লাভসে জমা পড়েছিল বল। কিন্তু গুরবাজ টের না পাওয়ায় আফগান অধিনায়ক রশিদ খানও রিভিউ নেননি। এরপর আর কোনো বিপদ ঘটেনি। দ্বিতীয় উইকেটে রিজা হেনড্রিকস ও মার্করামের ৪৩ বলে ৫৫ রানের জুটিতে সহজ জয়ে স্বপ্নের ফাইনালে উঠেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
২৫ বলে ২৯ রানে অপরাজিত ছিলেন হেনড্রিকস। ২৯ বলে ২৩ রানে অন্য প্রান্ত ধরে রেখেছিলেন প্রোটিয়া অধিনায়ক মার্করাম।