খেলাপি প্রার্থীদের খুঁজছে বাংলাদেশ ব্যাংক
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আগ্রহী প্রার্থীদের খেলাপি ঋণের তথ্য জানতে চেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) এ সম্পর্কিত নির্দেশনা জারি করে তফসিলি ব্যাংকের প্রধানদের কাছে পাঠানো হয়েছে।গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ –এর ১২ অনুচ্ছেদের বিধান অনুসারে কোনো ঋণখেলাপি ব্যক্তি জাতীয় সংসদের সদস্য হওয়ার যোগ্য নন। ফলে খেলাপি হলে কেউ প্রার্থী হতে পারেন না।
অতীতে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সাত দিন আগে খেলাপি ঋণ পুনঃতফসিল করে নিয়মিত করার বিধান ছিল। তবে ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে ব্যাংক ঋণ পরিশোধ সংক্রান্ত বিধান সংশোধন করা হয়। এরপর খেলাপি ঋণ সংক্রান্ত বিধান সংশোধন করা হয়।
করোনা মহামারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে এমনিতেই নানা সুবিধা পেয়ে আসছেন ঋণ গ্রাহকরা। এর অংশ হিসেবে দুই বছরের বেশি সময় ঋণ পরিশোধে ছাড় দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। তখন ঋণ শোধ বা ঋণের কিস্তি না দিলেও কেউ খেলাপি হননি।
এরপর গত বছরের জুলাইয়ে খেলাপি ঋণ পুনঃতফসিলের নীতিমালা সংশোধন করে ছাড় দেওয়া হয়। ফলে এখন ব্যাংক নিজেই খেলাপি ঋণ নিয়মিত করতে পারছে। পাশাপাশি খেলাপি ঋণ নিয়মিত করতে এখন জমা দিতে হচ্ছে বকেয়ার আড়াই থেকে সর্বোচ্চ সাড়ে ছয় শতাংশ অর্থ, আগে যা ছিল ১০ থেকে ৩০ শতাংশ।