সংসদ নির্বাচনের ব্যয় দাঁড়াচ্ছে সোয়া ২ হাজার কোটি টাকা
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যয় বেড়ে দাঁড়াচ্ছে দুই হাজার ২৭৬ কোটি টাকা। ভোটের দায়িত্বরতদের ভাতা, ভোটের উপকরণ প্রভৃতি খাতে ব্যয় বাড়ায় মোট ব্যয়ও বাড়ছে।
ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানিয়েছেন, তাদের বাজেট বরাদ্দ ছিল এক হাজার ৪৫৪ কোটি ৪৯ লাখ ৬৭ হাজার টাকা। এর তিনের দুই ভাগ রাখা হয়েছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য।
ইসি কর্মকর্তারা বলছেন, তিন হাজারের মতো ম্যাজিস্ট্রেট, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যের সংখ্যা ও মোতায়েনের সময় বাড়ায় তাদের পেছনে ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে। তাই সমুদয় ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে।
ইসির নির্দেশনায়, গত ২৯ ডিসেম্বর বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যরা মাঠে নেমে গেছেন, থাকবেন ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত। আগে একেকে বাহিনী একেক সময় মাঠে নামত বিধায় ব্যয় কম হতো। তার আগে নেমেছেন ম্যাজিস্ট্রেটরা।
এবার ম্যাজিস্ট্রেটের সংখ্যাও বেশি। ৩০০ আসনের জন্যই ৩০০ নির্বাচনী তদন্ত কমিটি নিয়োগ করা হয়েছে, যেখানে দায়িত্ব পেয়েছেন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেটরা। এছাড়া আট লাখ ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার ভাতাও বেড়েছে।
নির্বাচনে বিভিন্ন বাহিনীর আট লাখের মতো লোকবল ভোটের দায়িত্বে নিয়োজিত থাকছেন বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল।
জানা গেছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী থেকে প্রাপ্ত চাহিদা অনুযায়ী সম্ভাব্য ব্যয় প্রায় এক হাজার ২২৫ কোটি ৬২ লাখ টাকা এবং নির্বাচন পরিচালনা খাতে সম্ভাব্য ব্যয় এক হাজার ৫০ কোটি ৬০ লাখ টাকা। এতে আসন প্রতি ব্যয় দাঁড়িয়েছে সাত কোটি টাকার বেশি।
ইসি কর্মকর্তারা বলছেন, অতিরিক্ত ব্যয়ের চাহিদা অর্থ মন্ত্রণালয়ের পাঠানো হয়েছে। ইতোমধ্যে তারা বরাদ্দ দেওয়াও শুরু করেছে।
সংসদ নির্বাচনে ব্যয় বরাদ্দের বিষয়ে অর্থবিভাগের সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার বলেন, একটা জিনিস নিশ্চিত করেছি আমরা- নির্বাচনী ব্যয়; যেন পর্যাপ্ত ব্যয় বরাদ্দ হয়। এবার ইসির নির্দেশনায় ডিউটির সংখ্যা বেড়েছে, সময় বেড়েছে, এ কারণে ব্যয়ও বেড়ে গেছে।
ইসির জন্য এক হাজার ৪৫৪ কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল। আমরা ইতোমধ্যে জেনেছি যে, সময় বাড়ানো, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা, কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংখ্যা বাড়ানো ইত্যাদি কারণে ব্যয় অনেক বেড়ে গেছে। জেনেছি যে, দুই হাজার কোটি টাকার বেশি অতিরিক্ত ব্যয় বরাদ্দ লাগবে। ইতোমধ্যে ইসি সচিব মহোদয়ের সঙ্গে আলোচনা করে ৭০২ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়ে দিয়েছি। বাকিটাও দেব।
আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।