Main Logo
আপডেট : ২০ জুলাই, ২০২০ ১৩:০১

করোনায় বিক্রি হচ্ছে আসবাবপত্রসহ সাজানো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

অনলাইন ডেস্ক
করোনায় বিক্রি হচ্ছে আসবাবপত্রসহ সাজানো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
করোনা পরিস্থিতিতে রাজধানীর অলিগলির অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে। অনেক স্কুলের সামনে ‘টু-লেট’ ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে। অনেকে আবার আসবাবপত্রসহ স্কুল-কলেজের মালামাল বিক্রির নোটিশ ঝুলিয়ে দিয়েছেন। গত পাঁচ মাস শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় বাড়িভাড়া, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন আটকে যাওয়ায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। শিক্ষার্থী ভর্তি ও টিউশন ফি আদায় করতে না পেরে অনেক সাজানো প্রতিষ্ঠান বাধ্য হয়ে ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
 
রাজধানীর মিরপুর শাহআলী থানার পাশে মিরপুর-১, নিউজ সি ব্লক ৭ নম্বর বাড়িতে গড়ে তোলা হয়েছে বাংলা মিডিয়াম গোল্ড মাইন্ড স্কুল। প্লে শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত ৩০ জন শিক্ষক ও শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে এ প্রতিষ্ঠানে। পাঁচ বছর আগে প্রতিষ্ঠা হলেও করোনা পরিস্থিতির জন্য গত পাঁচ মাস থেকে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ রয়েছে। বর্তমানে স্কুলটির প্রতিষ্ঠাতা সাব্বির আহমেদ স্কুল হিসেবে গড়ে তোলা বাসাটি ছেড়ে দেয়ায় গেটে ‘টু-লেট’ ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে।
 
গোল্ড মাইন্ড স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা সাব্বির আহমেদ জাগো নিউজকে বলেন, “অনেক স্বপ্ন নিয়ে প্রায় ৩০ লাখ টাকা ব্যয় করে স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করেছিলাম। অনেক স্বপ্ন ছিল প্রতিষ্ঠানটিকে নিয়ে। তবে সকল স্বপ্ন দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছে। গত পাঁচ মাস ধরে স্কুল বন্ধ থাকায় বাড়িভাড়া, শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন পরিশোধ করতে পারিনি। তাই বাধ্য হয়ে স্কুলটি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বাড়ির মালিককেও বিষয়টি জানিয়ে দিয়েছি। তিনি নতুন ভাড়াটিয়া পেতে ‘টু-লেট’ ঝুলিয়ে দিয়েছেন।”
 
মোহাম্মদপুরে বেড়িবাঁধের ঢাকা উদ্যান এলাকার নবীনগর হাউজিং ৪ নম্বর সড়কে গড়ে তোলা হয়েছে ‘ফুলকুঁড়ি কিন্ডারগার্টেন অ্যান্ড হাইস্কুল’। এক বুক স্বপ্ন নিয়ে প্রতিষ্ঠানের মালিক তকবীর আহমেদ শিশুদের জন্য এই স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। করোনাকালে বিদ্যালয়ের টিউশন ফিসহ সবরকম আয় বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অর্থ সংকটে পড়ে তিনি এখন বিদ্যালয়টি বিক্রি করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
 
গত এক মাস ধরে মোহাম্মদপুরের বিভিন্ন অলিগলিতে তার স্কুলটি বিক্রির বিজ্ঞাপন সংবলিত পোস্টার নিজ হাতে সেঁটে চলেছেন। ভালো ক্রেতা পেলে আসবাবপত্রসহ স্কুলটি বিক্রি করে দেবেন। তকবীর আহমেদ বলেন, ‘স্কুল বিক্রি না করলে চলবে কী করে? চার মাস ধরে স্কুলের কোনো আয় নেই। প্রতি মাসে ভবনের ভাড়া দিতে হয় ৪৬ হাজার টাকা। ৫০ হাজার টাকা শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন। আছে আরও অন্যান্য খরচ।
 
সূত্র : জাগো নিউজ
উপরে