Main Logo
আপডেট : ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৩ ২২:৩৮

ফের বাড়ছে করোনা, সতর্কতার পরামর্শ

নিজস্ব প্রতিবেদক
ফের বাড়ছে করোনা, সতর্কতার পরামর্শ

বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে আবারও বাড়ছে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ। করোনার ওমিক্রন ধরনের নতুন উপধরন জেএন.১ বিশ্বজুড়ে এ সংক্রমণ ছড়াচ্ছে।


এমতাবস্থায় সতর্কতার পরামর্শ দিচ্ছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
রোববার (২৪ ডিসেম্বর) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশে আবারও করোনাভাইরাস সংক্রমণ বাড়ছে বলে জানায়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কোভিডের নতুন উপধরন জেএন.১ ও ইনফ্লুয়েঞ্জাসহ শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত রোগী শনাক্তের হার বাড়ছে। ফলে বাংলাদেশসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে নজরদারি বাড়াতে এবং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানিয়েছে ডব্লিউএইচও।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক ডা. পুনম ক্ষেত্রপাল সিং বলেন, কোভিড-১৯ বিশ্বব্যাপী সব দেশে বিকশিত, পরিবর্তন ও সঞ্চালিত হচ্ছে। যদিও উদ্ভূত লক্ষণগুলো পরামর্শ দেয়, জেএন১ অতিরিক্ত জনস্বাস্থ্য ঝুঁকি কম। আমাদের এই ভাইরাসের বিবর্তন ট্র্যাক করতে হবে। এজন্য দেশগুলোকে অবশ্যই নজরদারি এবং সিকোয়েন্সিং জোরদার করতে হবে। পাশাপাশি ডেটা শেয়ারিং (তথ্য সরবরাহ) নিশ্চিত করতে হবে। বাংলাদেশে কিছুদিন থেকে করোনা সংক্রমণের হার ঊর্ধ্বগতি রয়েছে।  

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে শনিবার দেশে করোনা শনাক্তের হার ছিল এক দশমিক ৩৬ শতাংশ, রোববার ছিল দুই দশমিক ৩৮ শতাংশ এবং সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) শনাক্তের হার ছিল দুই দশমিক ৫১ শতাংশ।

এ বিষয়ে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগনিয়ন্ত্রণ বিভাগের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. বেনজির আহমেদ বলেন, করোনার জেএন১ উপধরনে বর্তমানে কোনো আশঙ্কা না থাকলেও আমাদেরও অবশ্যই ঝুঁকি রয়েছে। প্রথমেই আমাদের শনাক্ত করা দরকার এই ধরন আমাদের দেশে প্রবেশ করেছে কি না। ঢুকলে কতজন এবং কারা আক্রান্ত হচ্ছেন, যারা আক্রান্ত হয়েছেন তাদের সিভিয়ারিটি কেমন? এই ধরনের কোনো ডাটা তৈরি করতে পারলে তার ওপর ভিত্তি করে আমরা একটা কর্মকৌশল প্রণয়ন করতে পারি।

তিনি আরও বলেন, নতুন এই উপধরনে যারা আক্রান্ত হচ্ছেন তাদের টিকার অবস্থা কি। যারা এক ডোজ, দুই ডোজ কিংবা বুস্টার ডোজ নিয়েছেন এবং যারা টিকার কোনো ডোজ নেয়নি তাদের অবস্থা কি, সেটা দেখা। এদের মধ্যে কার মৃত্যুহার কত? এজন্য আমার মত হচ্ছে, বর্তমানে করোনা সার্ভিলেন্স দ্রুত চালু করা। সার্ভিলেন্স অনুযায়ী পরিস্থিতি বুঝে আগামী পাঁচ ছয় মাসের জন্য কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ এবং পাশাপাশি বিশ্বের দিকে নজর রাখা করোনা পরিস্থিতি কোনো দিকে যাচ্ছে। সেই পরিস্থিতি অনুযায়ী আমরা যেন দেশে পরিকল্পনা নিতে পারি।
  
কোভিড-১৯-সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লা বলেন, বর্তমানে এটা প্রাথমিক পর্যায়ে আছে। আমাদের কাছে বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত আসছে। এ বিষয়ে আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যে হয়তো আমরা পরামর্শ কমিটি বসবো। এর মধ্যে নতুন কোনো অগ্রগতি রয়েছে কি না আমরা দেখব। একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ের তথ্য উপাত্তের ওপর ভিত্তি করে কোনো সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া যায় না।

বর্তমান সময়ে করণীয় বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের প্রধান কাজ হবে একটু সতর্ক থাকা। বর্তমানে আমরা অনেকেই করোনা টেস্ট করিনি। কিন্তু কারও উপসর্গ থাকলে করোনা টেস্ট করানো উচিত। করোনা পজিটিভের একটা অংশ যদি আমরা জিনোম সিকোয়েন্স করে দেখি ওই উপধরনটির উপস্থিতি এই দেশে রয়েছে কি না, এটা জানা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

উপরে