logo
আপডেট : ২৪ জুন, ২০১৯ ০০:৩০
লন্ডনের লর্ডসে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৪৯ রানে হারিয়েছে পাকিস্তান
নিজস্ব প্রতিবেদক

লন্ডনের লর্ডসে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৪৯ রানে হারিয়েছে পাকিস্তান

লন্ডনের লর্ডসে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৪৯ রানে হারিয়েছে পাকিস্তান। সরফরাজ আহমেদদের দেওয়া ৩০৯ রানের জবাব দিতে নেমে প্রোটিয়ারা ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়েছে করে ২৫৯ রান। 

 

 

 

পাকিস্তানি বোলারদের সামনে শুরুতে বিপদে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। দলীয় ৪ রানে হাশিম আমলাকে (২) এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে সাজঘরে ফেরান মোহাম্মদ আমির।

তবে শুরুর ধাক্কাটা সামাল দেয় ওপেনার কুইন্টন ডি কক ও অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিসের ব্যাট। দু’জন মিলে গড়েন ৮৭ রানের জুটি। সেই জুটি ভাঙেন শাদাব খান। ইমাম-উল-হকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ডি কক ফেরেন ৪৭ রান করে। 

এর পরপরই ফিরেন এইডেন মার্করাম (৭)। খাদ থেকে দলকে টন তোলার চেষ্টা করেন ডু প্লেসি। কিন্তু তার ইনিংসটা বড় করতে দেননি আমির। ডু প্লেসিকে (৬৩) শিকার করে ২০১৯ বিশ্বকাপের উইকেট শিকারিদের তালিকায় শীর্ষে ওঠেছেন আমির। 

এরপর দলের হাল ধরতে চেষ্টা করেন রসি ফন ডার সার ডুসেন এবং ডেভিড মিলার। দু’জনের ৫৩ রানের জুটি ভাঙেন শাদাব। দলীয় ১৮৯ রানে মোহাম্মদ হাফিজের তালুবন্দী হোন ডুসেন (৩৬)। পরের ওভারে মিলারকে (৩১) সরাসরি বোল্ড করেন শাহিন আফ্রিদি। 

তখনই ম্যাচটা মুঠোই নিয়ে নেয় পাকিস্তান। আন্দিলে ফেলুওকাওয়াও চেষ্টা করেছেন যতটুকু সম্ভব দলের রানটা বাড়ানোর। শেষ পযর্ন্ত তিনি অপরাজিত থাকেন ৪৬ রানে। অন্য প্রান্তে ওহাব রিয়াজের তোপে ফেরৎ যান ক্রিস মরিস (১৬), কাগিসো রাবাদা (৩) লুঙ্গি এনগিডি (১)। এক রানে অপরাজিত থেকে শেষ পযর্ন্ত ফেলুকাওয়াওকে সঙ্গ দেন ইমরান তাহির। 

এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ৩০৮ রান সংগ্রহ করে পাকিস্তান। 

আশার প্রদীপ জ্বালিয়ে রাখার ম্যাচে পাকিস্তানের শুরুটা হয় দুর্দান্ত। ফখর জামান ও ইমামের  ওপেনিং জুটিতে স্কোরবোর্ডে ৮৮ রান সংগ্রহ করে তারা। এই জুটি ভাঙেন তাহির। 

ফখরকে (৪৪) আমলার হাতে ক্যাচ বানান তাহির। পরে ইমামকেও (৪৪) ঘুর্ণিতে কাবু করেন তিনি। এরপর মার্করামের এলবিডব্লউর ফাঁদে পড়েন হাফিজ (২০)। 

জোড়া শিকারে একটি রেকর্ড গড়েছেন তাহির। বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি এখন তিনি। ৩৯ উইকেট নিয়ে পেছনে ফেলেছেন অ্যালান ডোনাল্ডকে। পাকিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে ৩৭ উইকেট ছিল তাহিরের। 

পাকিস্তানকে বড় সংগ্রহের পথে নেতৃর্ত্ব দেন বাবর আজম ও হারিস সোহেল। দু’জনে মিলে গড়েন ৮১ রানের জুটি। বাবর তুলে নেন ২০১৯ বিশ্বকাপের দ্বিতীয় ফিফটি। তবে ইনিংসটি বড় করতে পারেননি তিনি। ৬৯ রানের মাথায় তাকে ফেরান ফেলুকাওয়াও। 

এরপর ইমাদ ওয়াসিমকে নিয়ে বাকি কাজটি সারেন সোহেল। তার ব্যাটে ভর করে তিনশ পেরোনো সংগ্রহ পায় পাকিস্তান। শেষ দিকে সেঞ্চুরি থেকে ১১ রান দূরত্বে থাককে সোহেলকে থামান এনগিডি। তার ৫৯ বলে ৮৯ রানের ইনিংসটি সাজানো ছিল ৩ ছক্কা ও ৯ চারে। 

অবশ্য সোহেলের আগে ইমাদকে(২৩) ফেরান এনগিডি। ওহাব রিয়াজকে (৪) নিজের তৃতীয় শিকার বানান এই প্রোটিয়া পেসার। শেষ দিকে অধিনায়ক সরফরাজ (২) ও শাদাব (১) অপরাজিত ছিলেন। 

এই জয়ে ৬ ম্যাচে ৫ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার সাতে ওঠে এসেছে পাকিস্তান। সমান পয়েন্ট পেলেও নেট রান রেটে পিছিয়ে থাকায় তারা আছে বাংলাদেশের চেয়ে একধাপ পেছনে। 

অন্যদিকে হেরে সেমিফাইনালের স্বপ্ন শেষ হয়ে গেছে প্রোটিয়াদের। ৭ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট মাত্র ৩। নিয়ম রক্ষার ম্যাচে তারা বাকি দুই ম্যাচ খেলবে শ্রীলঙ্কা ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে।