logo
আপডেট : ২৫ জুন, ২০১৯ ০৮:২৭
স্ত্রীর সঙ্গে যৌন মিলনের ছবি ফেসবুকে দিলেন সেই পুলিশ!
নিজস্ব প্রতিবেদক

স্ত্রীর সঙ্গে যৌন মিলনের ছবি ফেসবুকে দিলেন সেই পুলিশ!

ঝিনাইদহের সেই পুলিশ সদস্য শাহজালাল রহমান শোভন নিজের স্ত্রীকে পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠানোর পর এবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ত্রীর সঙ্গে নিজের যৌন মিলনের ছবি পোস্ট করেছেন। শোভন ঝিনাইদহ পুলিশ লাইনসে কর্মরত রয়েছেন।

ফেসবুকে শোভনের বিরুদ্ধে স্ত্রীকে মারধর করে হাসপাতালে পাঠালেন এমন পোস্ট আসার পর সে পোস্টের রি-কমেন্ট করার সময় আরফিন শোভন নামে তার ফেসবুক আইডি থেকে তিনি এটি করেছেন।


বিভিন্ন ব্যক্তির প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে শোভন স্ত্রী শাহানার সঙ্গে নিজের যৌন মিলনের ঘনিষ্ঠ ছবি পরকীয়া বলে চালিয়ে দিয়েছেন। এরপর ফেসবুক কমেন্টে তিনি লিখেছেন আমি তার গায়ে হাত দিই নাই, পরকীয়া হাতেনাতে ধরাতে আমাকে ফাঁসানো, এইগুলো তার প্রমাণ।

southeast

এ ঘটনা জানাজানি হলে শোভন পরে তার কমেন্টগুলো ডিলিট করে এবং তার ফেসবুক আইডি ডিঅ্যাকটিভ করে দেয়। এ নিয়ে অস্বস্তিতে পড়েছেন নববধূ শাহিনা খাতুন।

জানা যায়, গত ১২ মে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার শেরকান্দি গ্রামের মতিয়ার রহমানের ছেলে পুলিশ সদস্য শাহজালাল রহমান শোভনের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার উমেদপুর গ্রামের জাহিদুল ইসলাম সাচ্চু মিয়ার মেয়ে শাহিনা খাতুনের।

শাহিনা খাতুন অভিযোগ করে বলেন, বিয়ের পর থেকেই কারণে-অকারণে তাকে মারধর করতেন পুলিশ স্বামী শোভন। গত ১৭ জুন সকালে শাহিনা খাতুন ভাইয়ের বাসায় বেড়াতে যাওয়ার কথা বললে গালিগালাজ ও মারধর করেন স্বামী শোভন। দুপুরে তাকে ঘরের মধ্যে আটকে রড দিয়ে প্রচণ্ড মারপিট করেন।

southeast

তিনি বলেন, এমনকি তাকে গলায় রশি দিয়ে ঝুলিয়ে রাখার চেষ্টা করেন। এ সময় গৃহবধূ চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন এসে উদ্ধারের জন্য দরজা খুলতে বলেন। শোভন দরজা খুলে দিলে মেয়েটি ঘর থেকে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলে শোভন তাকে ধারালো বটি দিয়ে তাড়া করেন। তখন প্রতিবেশীরা শাহিনাকে উদ্ধার করে পরিবারের লোকজনকে খবর দেন। শৈলকুপা থেকে পরিবারের লোকজন এসে শাহিনাকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।

অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য শাহজালাল রহমান শোভন বলেন, আমি আমার স্ত্রীর মোবাইল প্রায় সময় বিজি পাই। মোবাইল এত বিজি কেন এ বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসা করলে সে কোনো জবাব দেয়নি। এ ছাড়াও পারিবারিক কিছু সমস্যার কারণে তাকে চড়-থাপ্পড় মারতে বাধ্য হয়েছি।

বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামান বলেন, ‘আমি শুনেছি শোভন কর্মস্থলে গরহাজির থাকে।’ তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।

এদিকে নির্যাতিত গৃহবধূ শাহিনা খাতুন রোববার পুলিশ স্বামী শোভনের বিরুদ্ধে ঝিনাইদহের একটি আদালতে মামলা করেছেন বলে সাংবাদিকদের জানান।