বরগুনায় স্ত্রীর সামনে স্বামী রিফাত শরীফকে কুপিয়ে হত্যার আলোচিত ঘটনার দু’দিন অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত মূল অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এতে হতাশা ব্যক্ত করেছে সচেতন মহল। তবে পুলিশ বলছে হত্যার মূল হোতাদের ধরতে র্যাব ও পুলিশের একাধিক টিম মাঠে কাজ করছে। শিগগিরই দেশবাসীকে কাঙ্ক্ষিত খবরটি দিতে পারবেন তারা।
বরগুনার নাগরীক অধিকার সংরক্ষণ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন কামাল জাগো নিউজকে বলেন, আজ আমরা একটি সুন্দর সকাল প্রত্যাশা করেছিলাম। যে সকালে ঘুম থেকে উঠেই আমরা রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ডের মূল হোতাদের গ্রেফতারের খবর পাব। কিন্তু ঘটনার দু’দিন অতিবাহিত হলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আমাদের এই সুখবরটুকু দিতে পারেনি। তারা আমাদের হতাশ করেছে।
এদিকে রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা সাব্বির হোসেন নয়ন ওরফে নয়ন বন্ড ও রিফাত ফরাজিকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশ ও র্যাবের একাধিক টিম মাঠে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
এ বিষয়ে বরগুনার পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন বলেন, ‘রিফাত হত্যাকাণ্ডে জড়িত আসামিদের মধ্যে এখন পর্যন্ত দুজনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। আর সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা অজ্ঞাত এক আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’
বাকি আসামিরা পুলিশের নজরদারিতে আছে জানিয়ে পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন বলেন, আমরা দেশবাসীকে খুব দ্রুতই প্রত্যাশিত একটি সংবাদ দিতে পারব।
প্রসঙ্গত, বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে স্ত্রী আয়েশাকে বরগুনা সরকারি কলেজে নিয়ে যান রিফাত। কলেজ থেকে ফেরার পথে মূল ফটকে নয়ন, রিফাত ফরাজীসহ আরও দুই যুবক রিফাত শরীফের ওপর হামলা চালায়। এ সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে রিফাত শরীফকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে তারা। রিফাত শরীফের স্ত্রী আয়েশা দুর্বৃত্তদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু কিছুতেই হামলাকারীদের থামানো যায়নি। তারা রিফাত শরীফকে উপর্যুপরি কুপিয়ে রক্তাক্ত করে চলে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন রিফাত শরীফকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে রিফাত শরীফের মৃত্যু হয়।