গাজীপুরের শ্রমিক নেতা ও মুক্তিযোদ্ধা আহসান উল্লাহ মাস্টারের ১৬তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ ৭ মে। এ উপলক্ষে ঢাকা ও গাজীপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে খাদ্য বিতরণসহ কোরআনখানি ও মসজিদে মসজিদে দোয়া মাহফিল কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ৭ মে সকালে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের হায়দরাবাদ গ্রামে আহসান উল্লাহ মাস্টারের কবরে পরিবারের পক্ষ থেকে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, শ্রদ্ধা নিবেদন, পবিত্র কোরআনখানি, কালো ব্যাচ ধারণ, মিলাদ, দোয়া মাহফিল ও ইফতার বিতরণ। এ উপলক্ষে মঙ্গলবার (৫ মে) ও বুধবার (৬ মে) আহসান উল্লাহ মাস্টার ফাউন্ডেশন ও আহসান উল্লাহ মাস্টার এমপি স্মৃতি পরিষদের পক্ষ থেকে গাজীপুরের কর্মহীন, হত দরিদ্র, অসহায় ও বিভিন্ন পেশাজীবীদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।

যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বুধবার পূবাইল, টঙ্গী এবং গাজীপুরের বিভিন্ন স্থানে আহসান উল্লাহ মাস্টার ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে শ্রমজীবী ও পেশাজীবীসহ ১০ হাজার পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছেন।

উল্লেখ্য, আহসান উল্লাহ মাস্টার গাজীপুর-২ (গাজীপুর সদর-টঙ্গী) আসন হতে ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে দুই বার সংসদ সদস্য, ১৯৯০ সালে গাজীপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এবং ১৯৮৩ ও ১৯৮৭ সালে দুই দফা পূবাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তিনি আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য, শিক্ষক সমিতিসহ বিভিন্ন সমাজ সেবামূলক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। আহসান উল্লাহ মাস্টার শ্রমিক লীগের কার্যকরী সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।

২০০৪ সালের ৭ মে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের মদদ পুষ্ট একদল সন্ত্রাসী টঙ্গীর নোয়াগাঁও এম এ মজিদ মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক জনসভায় প্রকাশ্যে দিবালোকে আহসান উল্লাহ মাস্টারকে গুলি করে হত্যা করে। পরে ২০০৫ সালের ১৬ মে এ মামলার রায়ে ২২ জনের ফাঁসি ও ৬ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়।

২০১৬ সালের ১৫ জুন হাইকোর্ট ডিভিশন আসামিদের ডেথ রেফারেন্স , জেল আপিল ও আবেদনের শুনানি শেষে ছয়জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল এবং আটজনের যাবজ্জীবন বহাল রেখে ১১ জনকে খালাস দেন। বিচার চলাকালে দুইজন আসামি মারা যাওয়ায় তাদের আপিল নিষ্পত্তি করে দেয়া হয়। যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত একজন পলাতক আসামির আপিল না থাকায় তার ব্যাপারে আদালত পূর্বের রায় বহাল রাখেন।