logo
আপডেট : ১৩ মে, ২০২০ ১৯:৫৪
ছুটি বাড়ছে ৩০ মে পর্যন্ত
যানবাহন চলাচলে কড়াকড়ি
অনলাইন ডেস্ক

ছুটি বাড়ছে ৩০ মে পর্যন্ত

 
করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ রোধে চলমান সাধারণ ছুটি আরও ১৪ দিন বাড়ছে। আগামী ১৭ থেকে ৩০ মে পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
 
বুধবার (১৩ মে) সন্ধ্যায় প্রতিমন্ত্রী জাগো নিউজকে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) ছুটি বাড়ানোর প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।’
 
১৪ দিন ছুটির মধ্যে শবে কদর, ঈদ ও সাপ্তাহিক ছুটিরও অন্তর্ভুক্ত থাকবে। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ২৪ বা ২৫ মে দেশে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে।
 
করোনার কারণে সরকার প্রথমে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করে। পরে কয়েক দফায় ছুটি বাড়িয়ে ১৬ মে পর্যন্ত করা হয়। কিন্তু দেশে এখনও করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির উন্নতি নেই, বরং দিন দিন অবনতির দিকে যাচ্ছে।
 
ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘ঈদের দুই দিন আগে, ঈদের দিন ও ঈদের চার দিন পর- এই সাতদিন এখন প্রাইভেটকারসহ যেসব সাধারণ যানবাহন রাস্তায় রয়েছে, এগুলোর চলাচল কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে, যাতে এগুলো চলাচল করতে না পারে।’
 
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘যে যেখানে আছেন, সেখান থেকেই ঈদ করতে হবে। এসব নির্দেশনা ছুটি বাড়ানোর প্রজ্ঞাপনে থাকবে।’
 
 
গত ১৬ মে ও ঈদের ছুটির মাঝখানে কর্মদিবস মাত্র চারটি- ১৭, ১৮, ১৯, ২০ মে। এরপর ২১ মে শবে কদরের ছুটি। এরপর ২২ ও ২৩ মে সাপ্তাহিক ছুটি। আবার রমজান মাস ৩০ দিন ধরে ২৪ মে (রোববার) থেকে শুরু ঈদের ছুটি। ২৫ ও ২৬ মে’ও (সোম ও মঙ্গল) ঈদের ছুটি থাকবে। সরকারি ছুটির তালিকায় এভাবেই নির্ধারিত আছে। তবে রমজান মাস ২৯ দিনে শেষ হলে ঈদের ছুটি থাকবে ২৩, ২৪ ও ২৫ মে (শনি, রবি ও সোম)।
 
ইতোমধ্যে জরুরি সেবা সংশ্লিষ্ট সরকারি অফিস সীমিত পরিসরে খুলে দেয়া হয়েছে। এছাড়া স্বাস্থ্যবিধি মানা সাপেক্ষে দোকান, শপিংমল, কারখানা, গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিসহ অন্যান্য শিল্প ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সীমিত আকারে খুলে দেয়া হয়েছে। তবে বন্ধ রয়েছে গণপরিবহন।
 
বুধবার (১৩ মে) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে জানানো হয়, দেশে মহামারি করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৯ জন প্রাণ হারিয়েছেন। ভাইরাসটি হানা দেয়ার পর দেশে এটিই এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড। এ নিয়ে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ২৬৯ জনে। একই সময়ে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন আরও এক হাজার ১৬২ জন। এটিও একদিনে সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড। সবমিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১৭ হাজার ৮২২ জনে।