সম্মিলিত গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি নাজমা আক্তারের বক্তব্য আমি সবসময় মনোযোগ দিয়ে শুনি। মাত্র ১১ বছর বয়সে পোশাক কারখানায় কাজ শুরু করেন তিনি, ৩৫ বছরেরও বেশি সময় যুক্ত আছেন এ সেক্টরে। সময় টিভির একটি টক শোতে পোশাক কারখানার একজন মালিক এবং নাজমা আক্তার দুজনের বক্তব্যই শুনছিলাম। নাজমা আক্তারের যুক্তি-পাল্টা যুক্তির উত্তরে মালিক ভদ্রলোকের তেমন কিছু বলার ছিল না। আচরণে বিনীত থাকার চেষ্টা করছিলেন তিনি, কিন্তু ভেতরের ‘মালিক’টা প্রায়ই বেরিয়ে আসতে চাইছিল। বরাবর নাজমা আক্তারকে তিনি ‘তুমি’ (বলেছ, করেছ) সম্বোধন করছিলেন। গার্মেন্টস সেক্টরের বদৌলতেই তিনি আজ নেত্রী হতে পেরেছেন, ইউরোপ-আমেরিকায় যাওয়ার সুযোগ পেয়েছেন, এমন কথাও বলে ফেললেন।
নাজমা আক্তারের ভেতরের কষ্টটা বেরিয়ে এল একটা কথায়। তিনি বললেন, ‘আপনাদের কথা শুনলে দুঃখ পাই। আপনারা বলেন, গরীবের ভেতর শক্তি আছে, গরীবের অসুখ হয় না। ঠিকই বলেছেন, গরীবের খাবার লাগে না। তাদের অসুখ হয় না। সব কেবল ধনীদের লাগে। তবে একটা কথা জানতে ইচ্ছে করে, আপনারা কয় পুরুষ ধরে ধনী?’
লেখক : চেয়ারম্যান, তথ্য বিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।