র্তুগাল-স্পেইন সীমান্তের চাভেস নামক জায়গার এস্তাদিও মিউনিসিপাল এনহেনহিয়েরো ম্যানুয়েল ব্রাঙ্কো তেইজেরিয়া স্টেডিয়ামের ভেতর অবস্থান করছিল ৮ হাজার মানুষ। তখন থেকেই শুরু হলো কিংবদন্তি ফুটবলারের পথচলা।
একবিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকটা পর্তুগাল ফুটবলের জন্য ভালো ছিল না। ২০০২ সালের বিশ্বকাপে স্বাগতিক দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে হেরে গ্রুপপর্ব থেকেই বিদায়। দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে সেই ম্যাচে ৯ জন খেলোয়াড় নিয়ে খেলেছিল পর্তুগাল। ফরোয়ার্ড হোয়াও পিন্টো রেফারিকে ঘুষি মেরে লাল কার্ড দেখেছিলেন।
২০০৪ ইউরো কাপের স্বাগতিক দেশ কাজাখাস্তান। তার আগে ২০০৩ সালের আগস্টে কাজাখাস্তানের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ খেলতে নামে পর্তুগাল। ম্যাচের হাফ টাইমে স্কোরলাইন ছিল গোলশূন্য। বিরতির পর মাঠে নামেন ১৮ বছর বয়সী ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। তাকে মাঠে বসেই তখনকার অধিনায়ক লুইস ফিগো বলছিলেন, ‘মাথা ঠাণ্ডা রাখবে। ক্লাবে যেমন করে খেলে যাও, এখানেও তেমনি করে খেলতে থাকো।’
মাত্র দুই মিনিটের মাথায় রোনালদোর ড্রিবলিং, বল নিয়ে কাড়িকুড়ি দেখে স্টেডিয়ামের দর্শকরা ‘রোনালদো’ ‘রোনালদো’ ধ্বনিতে মুখরিত হতে লাগল। পুরো ম্যাচে রোনালদো অসাধারণ খেললেন। দল জিতল ১-০ গোলে। রোনালদো অর্জন করলেন ম্যাচসেরার পুরস্কার। এভাবেই তিনি বিশ্বসেরা হওয়ার রাস্তায় পদার্পণ করেন বীরের বেশে।
সেই ম্যাচে রোনালদোর সতীর্থ ছিলেন ফার্নান্দো মিয়েরা। ‘সে ইতোমধ্যেই সেরা হওয়ার দৌড়ে নেমে পড়েছে। সে ক্ষিপ্র গতিসম্পন্ন, শক্তিশালী এবং সর্বোচ্চ গোলদাতা হতে চায়। সে সবদিক দিয়েই সেরা হতে চায়’- সেই ম্যাচের পর মিয়েরার এই কথার প্রতিফলন বোঝা গেল ১৭ বছর পর।
পাঁচবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী, পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ী, জাতীয় বীর, পর্তুগালের ২০১৬ ইউরো জয়ের কাণ্ডারি, চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতা এবং সর্বোপরি শীগগিরই তিনি আন্তর্জাতিক ফুটবল ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলদাতার মুকুটও অর্জন করতে যাচ্ছেন।