logo
আপডেট : ২২ জুলাই, ২০২০ ০৯:৫২
স্বাস্থ্য খাতে কেলেঙ্কারি
অভিযোগ মাথায় নিয়ে ডিজির পদত্যাগ
অনলাইন ডেস্ক


অভিযোগ মাথায় নিয়ে ডিজির পদত্যাগ

দেশে করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে সুরক্ষাসামগ্রী, চিকিৎসা, পরীক্ষাসহ নানা বিষয়ে একের পর এক কেলেঙ্কারিতে সমালোচনার মুখে অবশেষে পদত্যাগ করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে জনপ্রশাসনসচিবের কাছে নিজের পদত্যাগপত্র জমা দেন বলে নিশ্চিত করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্র।

অধ্যাপক ডা. আজাদ সচিব পদমর্যাদায় দ্বিতীয় দফায় চুক্তিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক পদে ছিলেন। পদত্যাগপত্রে তিনি কী কারণ উল্লেখ করেছেন, তা গত রাত ৯টায় এ প্রতিবেদন লেখার সময় জানা যায়নি।

গত মার্চে দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর একের পর এক কেলেঙ্কারি প্রকাশ পাওয়ায় সমালোচনায় রয়েছেন ডা. আজাদ। শুরুর দিকে চিকিৎসকদের নিম্নমানের মাস্ক সরবরাহের অভিযোগ ওঠে। এরপর সম্প্রতি রিজেন্ট হাসপাতাল, জেকেজি হেলথকেয়ারের করোনা পরীক্ষায় জালিয়াতি ফাঁস হওয়ায় তোপের মুখে পড়েন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ।

সর্বশেষ রিজেন্ট হাসপাতালের সঙ্গে করোনা চিকিৎসার চুক্তি ঘিরে অনিয়মের অভিযোগ জোরালো হয়ে ওঠে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিরুদ্ধে। রিজেন্ট হাসপাতালের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আজাদসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

অনিয়মের অভিযোগে রিজেন্ট হাসপাতাল বন্ধ করে দেওয়া হলে মন্ত্রী জানান যে অধিদপ্তরের আমন্ত্রণেই তিনি সেখানে গিয়েছিলেন। অন্যদিকে মহাপরিচালক গণমাধ্যমে একটি বিবৃতি দিয়ে মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ওই চুক্তি করা হয় বলে জানিয়েছিলন, যার পরিপ্রেক্ষিতে পরের দিনই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে ওই বক্তব্যের ব্যাখ্যা চাওয়া হয়। তিনি পরে সেই ব্যাখ্যা দেন। সেই ব্যাখ্যায়ও তিনি মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মৌখিক নির্দেশের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, এগুলো মৌখিকভাবে পূর্বতন সচিব বলেছেন। তখন মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগের বর্তমান সচিব তাঁর এই জবাব পর্যালোচনা করার কথা জানিয়েছিলেন।

পরবর্তী সময়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) থেকে ওই চুক্তিসংক্রান্ত নথিপত্র চাইলেও তা সময়মতো দেওয়া হয়নি। একপর্যায়ে গত রবিবার দুদকের একটি দল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে গিয়ে ওই নথিপত্র চাইলে মহাপরিচালক আরো এক দিন সময় চান। পরের দিন সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা দুদকে গিয়ে ওই নথিপত্র দিয়ে আসেন। এর পরই গতকাল মহাপরিচালক পদত্যাগপত্র জমা দিলেন।

সূত্র : কালের কণ্ঠ