logo
আপডেট : ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০৮:৪১
মসজিদে বিস্ফোরণ : গাফিলতির সঙ্গে জড়িতদের দ্রুতই গ্রেপ্তার করা হবে
অনলাইন ডেস্ক



মসজিদে বিস্ফোরণ : গাফিলতির সঙ্গে জড়িতদের দ্রুতই গ্রেপ্তার করা হবে

পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজ হাবিবুর রহমান বলেছেন, নারায়ণগঞ্জের মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত চলছে। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। তদন্তে দেখা বোঝা যাচ্ছে যে, এ ঘটনায় সেখানে গাফিলতি ছিল। জড়িতের দ্রুতই গ্রেপ্তার করা হবে।

 রবিবার রোববার রাত ১২টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে দগ্ধদের দেখে বাইরে বের হয়ে এসে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

ডিআইজি হাবিবুর রহমান জানান, তদন্তে সব বিষয় গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। বিশেষ করে মসজিদ নির্মাণের সময় গ্যাসলাইন কি আগে থেকে ছিল কি না,  অথবা ইঞ্জিনিয়ারের কোনো ত্রুটি আছে কি না, কিংবা গ্যাসলাইন থাকার পরও মসজিদ কমিটি সেটি নির্মাণ করেছে কি না- সবকিছু খতিয়ে দেখছে তদন্ত কর্মকর্তা।

গাফিলতির বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গাফিলতির বিষয়টি তারাই বলতে পারবেন। এ বিষয়ে এখনই কোনো মন্তব্য করা ঠিক হবে না। তবে দেখে বোঝা যাচ্ছে যে, গাফিলতি সেখানে ছিল।

এ সময় ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার মোস্তাফিজুর রহমান তার সঙ্গে ছিলেন। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে অর্থ সহায়তা দেওয়া হবে। এছাড়া অন্যান্য তহবিল থেকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পাশে সহায়তা নিয়ে দাঁড়ানো হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘জেলা প্রশাসক ও ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। সেই তদন্ত রিপোর্ট পাওয়া গেলে পরিষ্কার বোঝা যাবে আসলে বিস্ফোরণের ঘটনাটি কেন, কিভাবে ঘটলো। আমরা চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেছি। একজন বাদে সবার অবস্থা খুবই খারাপ।’

ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘যে কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে সেই কারণটিই উদঘাটন হওয়া জরুরি। যার দায়িত্বে অবহেলার কারণে এ ঘটনা ঘটুক না কেন সরকার এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।

ডিআইজি হাবিবুর রহমান আরো জানান, এ ঘটনায় যারা দায়ী তাদের মামলার আসামি করা হবে। প্রয়োজনে তাদের গ্রেপ্তার করে চার্জশিট গঠন করে আদালতে পাঠানো হবে। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিন, পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম, সদর উপজেলার ইউএনও নাহিদা বারিকসহ অন্যরা।


সূত্র : কালের কণ্ঠ