রাজধানীর ভাষানটেক এলাকায় শাহ আলম হত্যার ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ভাষানটেক থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃতের নাম-মোঃ রহমত উল্ল্যাহ (১৮)।
০৬ জানুয়ারি,২০২১ রাত ২২:৩০ টায় সুনামগঞ্জ জেলার, ধর্মপাশা থানা এলাকায় অভিযান করে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
ভাষানটেক থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ দেলোয়ার হোসেন বলেন, গত ১ জানুয়ারি,২০২১ (শুক্রবার) উত্তর ভাষানটেক এলাকায় এক ব্যক্তিকে রুমের ভিতর হত্যা করে ফেলে রেখেছে মর্মে সংবাদ পায় পুলিশ। সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ভিকটিমের পরিচয় জানতে পারে। পরিচয় জানার পর ভিকটিম শাহ আলমের গ্রামের বাড়ীতে সংবাদ প্রেরণ করা হয়। সংবাদ পেয়ে ভিকটিমের ছোট ভাই ভাষানটেক থানায় আসে ও তার ভাইয়ের লাশ শনাক্ত করে। ভিকটিমের ছোট ভাইয়ের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ১লা জানুয়ারি,২০২১ তারিখ ভাষানটেক থানায় হত্যা মামলা রুজু হয়। মামলা রুজুর পর প্রযুক্তির সহায়তায় প্রাপ্ত তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে এ হত্যার ঘটনায় অভিযুক্তকে শনাক্ত করে সুনামগঞ্জ জেলার, ধর্মপাশা থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য সম্পর্কে তিনি আরো বলেন, গ্রেফতারকৃত অভিযুক্ত রহমত উল্ল্যাহ এর সহিত ভিকটিম শাহ আলমের ১ বছর যাবত পরিচয়। পরিচয়ের সুবাদে তাদের মধ্যে ভাল সর্ম্পক গড়ে উঠে। শাহ আলম টাকার লোভ দেখিয়ে অভিযুক্ত রহমতের সাথে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুলে। বিষয়টি রহমতের অন্তরে লাগে যার ফলে গত ৩০ ডিসেম্বর,২০২০খ্রিঃ রাত ১১:৩০ টায় শাহ আলমের বাসায় যায়। ভিকটিম শাহ আলম ঘুমিয়ে গেলে রাত ০৪:০০ টায় রান্না ঘর হতে রহমত চাকু নিয়ে ভিকটিমের পিঠে আঘাত করে বালিশ চাপা দিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে। রহমত হত্যায় ব্যবহৃত চাকুটি বিছানার নিচে লুকিয়ে রেখে রুমের দরজায় তালা লাগিয়ে পালিয়ে যায়। হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত চাকু ঘটনাস্থল হইতে উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতকে আজ ০৭ জানুয়ারি,২০২১ বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করলে দোষ স্বীকার করে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দী প্রদান করেন মর্মে পুলিশের এ কর্মকর্তা জানান।