তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণলয়ের মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, যেসব সাংবাদিকের ব্যাংক হিসাব চাওয়া হয়েছে তাদের ব্যক্তিগতভাবে চিনি ও তাদের আর্থিক অবস্থাও জানি। কেন তাদের হিসাব চাওয়া হলো আমারও প্রশ্ন। গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ একথা বলেন। সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি ও যুগান্তরের সম্পাদক সাইফুল আলম, বিএফইউজের সভাপতি মোল্লা জালাল প্রমুখ।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমাকে সরকারের প্রতিনিধিত্ব করতে হচ্ছে, সাংবাদিকদেরও প্রতিনিধিত্ব করতে হচ্ছে। আমি সবারই স্বার্থ রক্ষা করে কাজ করে যেতে চাই। যেসব সাংবাদিকের ব্যাংক হিসাব চাওয়া হয়েছে তাদের ব্যক্তিগতভাবে চিনি ও তাদের আর্থিক অবস্থাও জানি। কেন তাদের হিসাব চাওয়া হলো আমারও প্রশ্ন। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন যেন সাংবাদিকদের দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে কোনো প্রতিবন্ধকতা তৈরি না করে। এ আইন বিদেশেও আছে। এটি নিয়ে সাংবাদিকদের চরিত্র হরণের অধিকার কারও নেই। কিন্তু অনেকেই সেই চেষ্টা করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, দেশে অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের প্রয়োজন আছে। কিন্তু টেলিভিশনে দেখা যায় অনেক ক্ষেত্রে কারও ব্যক্তিগত বিষয় প্রকাশ হয়ে যায়। এক্ষেত্রে জনগণের যে ব্যক্তিগত অধিকার, তা খর্ব হয়। এসব বিষয় আমাদের মাথায় রাখা দরকার। তিনি আরও বলেন, করোনাকালে আমি চেষ্টা করেছি, সাংবাদিকদের সহযোগিতার জন্য। আমাদের মন্ত্রণালয়ের অব্যবহৃত অর্থ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টে বরাদ্দ দিয়ে সাংবাদিকদের এককালীন সহযোগিতা করেছি। প্রধানমন্ত্রী প্রেস ক্লাবে একবার বলেছিলেন, আমি কতদিন আছি জানি না, তবে আমি সাংবাদিকদের জন্য একটা স্থায়ী ব্যবস্থা করে দিতে চাই। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট তৈরি করা হয়েছে। ট্রাস্টের মাধ্যমে আমরা সাংবাদিকদের পরিবারসহ সহযোগিতার চেষ্টা করে যাচ্ছি। অপ্রকাশিত পত্রিকা বন্ধের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, গণমাধ্যমে যেসব বিশৃঙ্খলা ছিল আমি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়ার পর তা নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেছি। প্রচার হয় না অথচ বিজ্ঞাপন নেওয়ার জন্য প্রিন্ট পত্রিকা খুলে বসে আছে। আমি এরকম পত্রিকাগুলো বন্ধের পদক্ষেপ নিয়েছি। এখন আর ক্যাবল অপারেটরদের কাছে টেলিভিশন মালিকদের ধরনা দিতে হয় না। বাংলাদেশের চ্যানেলে বিদেশি বিজ্ঞাপন প্রচার হতো। আমি সেটা নিয়ন্ত্রণ করেছি, সরকারের করের আওতায় এনেছি।