logo
আপডেট : ৭ অক্টোবর, ২০২১ ১২:০৯
উদ্ধার হলো সেই তিন কলেজ ছাত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক

উদ্ধার হলো সেই তিন কলেজ ছাত্রী


অদভুত কান্ড ঘটালেন তিন কলেজ ছাত্রী। কাউকে কিছু না জানিয়ে রাজধানীর পল্লবী এলাকার বাসা থেকে বেরিয়ে গিয়ে তারা ছদ্মবেশ ধারন করে দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘুরছিলেন। এ দিকে তাদের পরিবারের সদস্যরা থানায় মামলা পযন্ত করেন। তাদের উদ্ধারে মাঠে নামে পুলিশ র‌্যাব। অবশেষে গত বুধবার সকালে তাদেরকে উদ্ধার করে র‌্যাব। আর বেরিয়ে আসে তাদের এসব কমকা-।
তারা তিন জনই বাসা থেকে টাকা, স্বর্ণালঙ্কার ও শিক্ষাসনদ নিয়ে উধাও হয়েছিলেন। গত বুধবার ভোরে মিরপুরের বেড়িবাঁধ এলাকা থেকে তাদের উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছে র‌্যাব। উদ্ধার হওয়া তিন ছাত্রী হলেন— কাজী দিলখুশ জান্নাত নিসা, কানিজ ফাতেমা ও স্নেহা আক্তার। তারা সবাই দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। এর মধ্যে নিসা মিরপুর গার্লস আইডিয়াল ল্যাবরেটরি ইনস্টিটিউট, স্নেহা পল্লবী ডিগ্রি কলেজ ও কানিজ দুয়ারিপাড়া কলেজের শিক্ষার্থী। বুধবার বিকালে পল্লবী থানার এসআই সজীব খান গণমাধ্যমকে বলেন, তিন ছাত্রীকে উদ্ধার করেছে র‌্যাব। তারা বর্তমানে র‌্যাব- ৪-এর অফিসে রয়েছে। সেখান থেকে তাদের থানায় আনা হবে। র‌্যাব জানায়, স্বেচ্ছায় বাড়ি ছাড়েন এই তিন ছাত্রী। তারা ছদ্মবেশ ধারণ করে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরছিলেন। তারা কক্সবাজারও গিয়েছিলেন। র‌্যাব ৪-এর উপঅধিনায়ক মেজর রবি খান গণমাধ্যমকে বলেন, ওই তিন ছাত্রী নিখোঁজ হওয়ার পর থেকেই তাদের শনাক্ত করতে কাজ করছিলাম। তাদের (তিন ছাত্রী) অবস্থান শনাক্ত করার পর র‌্যাবের একটি দল কক্সবাজারে যায়। সেখানে র‌্যাব সদস্যরা তাদের (তিন ছাত্রী) অনুসরণ করে। গত মঙ্গলবার তারা কক্সবাজার থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হলে আমাদের সদস্যরাও তাদের অনুসরণ করে ঢাকায় আসেন। মিরপুরে প্রবেশ করার সময় তাদের উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয়। পরিবারের কাউকে কিছু না বলে গত বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় সবাই নিজ নিজ বাসা থেকে একযোগে বের হন। বের হওয়ার সময় সবাই বাসা থেকে কয়েক লাখ টাকা, গহনা, স্কুল সার্টিফিকেট ও দামি মোবাইল নিয়ে যায়। নিখোঁজ হওয়ার পর পরিবার দাবি করেছিল— বিদেশে নেওয়ার প্রলোভনে তাদের নিয়ে গেছে একটি নারী পাচারকারী চক্র। এ জন্য তারা বাসা থেকে অর্থ ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে পালিয়েছে।   এ ঘটনায় নিসার মা মাহমুদা আক্তার পল্লবী থানায় অপহরণ মামলা করেন। মামলার পর এক তরুণীসহ চারজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতার চারজনের মধ্যে দুজন সহদোর। এ ছাড়া তাদের মধ্যে এক তরুণীও রয়েছেন। গ্রেফতার দুই ভাই হলেন— তরিকুল্লাহ (১৯)ও তার বড়ভাই রকিবুল্লাহ (২০)। বাকি দুজনের বয়স ১৮ বছর।