বিজিবি'র লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি) এর অধিনায়ক গত ১৩ অক্টোবর ২০২১ তারিখ আনুমানিক ১৬৪৫ ঘটিকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারেন যে, কাভার্ড ভ্যানের মাধ্যমে কুড়িগ্রাম হতে ঢাকায় অবৈধ ভারতীয় শাড়ি/শার্ট পিস পাচার হবে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে অধিনায়ক, লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি) এর নির্দেশে কুলাঘাট বিশেষ ক্যাম্প ও ব্যাটালিয়ন সদর হতে বিশেষ দলের সমন্বয়ে একটি টহলদল গোপন সংবাদ দাতার তথ্য অনুযায়ী নির্দেশিত স্থানে গমন করে অবস্থান নেয়। আনুমানিক ১৯০০ ঘটিকায় সোর্সের বর্ণনানুযায়ী কুড়িগ্রাম হতে একটি কাভার্ড ভ্যান আসতে দেখতে পায়। টহলদল উক্ত কাভার্ড ভ্যানকে থামানোর সংকেত দিলে চালক গাড়ী থামিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরবতীর্তে বিজিবির চালক দ্বারা গাড়ীটি ব্যাটালিয়ন সদরে আনয়ন করা হয় এবং কাভার্ড ভ্যানটি তল্লাশী করে ভারতীয় কাতান শাড়ী-৪৮০ পিস, ভারতীয় সিল্ক শাড়ী-১৬০ পিস, ভারতীয় শার্ট পিস-৩,২০০টি, নবরত্ন মিনি প্যাক- ১১৫০ পিস, ফেস ওয়াস মিনি প্যাক-৪২৮ পিস, হরলিক্স- ২৫ বোতল, কিটকাট চকলেট-৫০০ পিস এবং ফেন্সিডিল- ৯৯ বোতল আটক করা হয়। আটককৃত মালামালের বাজার মূল্য- ১,০৯,৪৮,৯৮৩/- এবং গাড়ীর মূল্য- ৩৫,০০,০০০/- টাকাসহ সর্বমোট মূল্য= ১,৪৪,৪৮,৯৮৩/-।
উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিবর্গের নামে লালমনিরহাট সদর থানায় পৃথক ০২টি মামলা দায়ের করতঃ শাড়ী, শার্ট পিস, অন্যান্য মালামাল স্থানীয় কাষ্টমস অফিসে এবং কাভার্ড ভ্যান ও ফেন্সিডিল লালমনিরহাট সদর থানায় জমা করার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
উল্লেখ্য, মাদকের ব্যাপারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে কাভার্ড ভ্যানসহ মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়াও অবৈধ ভারতীয় শাড়ী, শার্ট পিস এবং অন্যান্য মালামাল আটকের ফলে দেশী পণ্য উপযুক্ত বাজার মূল্য অর্জনের মাধ্যমে স্থানীয় ব্যবসায়ীগণ যেমন লাভবান হবে তেমনি জাতীয় পর্যায়ে অর্থনীতি শক্তিশালী হবে।