স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান জানিয়েছেন, চুয়াডাঙ্গার একটি হত্যা মামলায় দুই আসামির মৃত্যুদ- যথাযথ নিয়ম মেনে কাযকর করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এ কথা বলেন। তিনি বলেন, যথাযথ নিয়ম মেনে তাদের ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। কোনো আপিল পেন্ডিং ছিল বলে আমাদের জানা নেই। ফাঁসি দেওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের সিস্টেমের কোনো ব্যত্যয় হয়নি। চুয়াডাঙ্গার একটি হত্যা মামলায় ঝড়ু ও মকিম নামের দুই আসামির নিয়মিত আপিল নিষ্পত্তির আগে তাদের দণ্ড কার্যকর হয়েছে বলছেন তাদের আইনজীবী। ভুক্তভোগীর পরিবারের পক্ষ থেকে করা আপিলটি শুনানির জন্য প্রস্তুত হলে আইনজীবী স্বজনদের কাছ থেকে জানতে পারেন, চার বছর আগে ২০১৭ সালেই দণ্ড কার্যকর হয়ে গেছে।
আপিল শুনানির আগে মৃত্যুদণ্ডাদেশ কার্যকরের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের জানা মতে এই রকম ঘটনা ঘটেনি। প্রথম কথা হলো এই, ফাঁসির ক্ষেত্রে একটা প্রসিডিউর আছে। যিনি ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত হন, প্রথমে তিনি আপিল করতে পারেন। তিনি হাইকোর্টে আপিল করেছেন। আপিল না মঞ্জুর হওয়াতে তিনি আবার আপিল বিভাগে আপিল করেছেন। জেল থেকে তিনি আপিল করেছেন, যেটাকে জেল আপিল বলে। জেল আপিল নিষ্পন্ন হওয়ার পরে, না মঞ্জুর হওয়ার পরে তিনি সর্বশেষ রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চেয়েছেন। রাষ্ট্রপতি প্রাণভিক্ষার আবেদন না মঞ্জুর করেছেন। এরপর সিস্টেম অনুযায়ী তাকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘ আমরা যেটুকু দেখেছি, যথাযোগ্য নিয়ম অনুযায়ী হয়েছে, প্রত্যেকটি স্টেপের পর যে স্টেপ সেই স্টেপই আসছে। কোনো আপিল পেন্ডিং ছিল বলে আমাদের কিংবা কারা কর্তৃপক্ষের জানা নেই।’
তবে সমস্যা কোথায় হয়েছে- জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এটা বলতে পারবো না। যথাযথ নিয়মের মধ্যেই তাকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। এখন যদি কেউ কিছু বলে থাকেন, সেটা আমাদের জানা নেই। কারা কর্তৃপক্ষের কাছেও কোনো নিষেধাজ্ঞা কিংবা কিছু আসেনি। আমাদের যে সিস্টেম সেই সিস্টেমে কোন ব্যত্যয় হয়নি।