ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে দেশ রূপান্তরের প্রথম পাতার খবর, “এক পরিবারে ১৭ ডেঙ্গু রোগী দুই মাসে খরচ ৮ লাখ”।প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ঢাকার ফায়েদাবাদ চুয়ারিটেক এলাকায় একটি একান্নবর্তী পরিবারের ২৭ জন সদস্যের মধ্যে ১৭ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। পরিবারের অসুস্থ সদস্যদের চিকিৎসা বাবদ দুই মাসে ব্যয় হয়েছে ৮ লাখ টাকার বেশি। শুধু হাসপাতালের বিলই দিতে হয়েছে সাত লাখ টাকার মতো। এই ব্যয় সংকুলান করতে গিয়েও হিমশিম খেতে হয়েছে এই পরিবারকে।
দীর্ঘ দুই মাস ডেঙ্গুর সঙ্গে যুদ্ধে রাতের পর রাত নির্ঘুম কেটেছে পরিবারের অন্য সদস্যদের। আক্রান্তদের কারও কারও জটিলতা রীতিমতো ভয় পাইয়ে দিয়েছিল অন্যদের।
আক্রান্তদের মধ্যে ছিলেন পরিবারের বৃদ্ধ মা ও আট শিশু-কিশোরও। আক্রান্ত হয়েছেন পরিবারের ভাই ও তাদের স্ত্রীরা।
সবাই সেরে উঠলেও ডেঙ্গু-পরবর্তী জটিলতা এখনো রয়ে গেছে আক্রান্তদের কারও কারও মধ্যে। আক্রান্ত সদস্যদের পুরোপুরি সুস্থ করে তুলতে এখন চলছে ডেঙ্গু-পরবর্তী যুদ্ধ।
একই বিষয় নিয়ে যুগান্তরের প্রথম পাতার খবর, “ডেঙ্গু চিকিৎসায় আইসিইউ ব্যয়ে রোগীদের নাভিশ্বাস”। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, চাহিদার তুলনায় সরকারি হাসপাতালে আইসিইউ শয্যা কম থাকায় ৯০ শতাংশ ডেঙ্গু রোগীকে বেসরকারি হাসপাতালে ছুটতে হচ্ছে।
সাধারণত বেসরকারি হাসপাতালগুলোয় প্রতি ২৪ ঘণ্টায় আইসিইউর ভাড়া, কেবিন ভাড়া, ওষুধপত্র, থাকা-খাওয়াসহ প্রতিদিন ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা খরচ পরে।
এই ব্যয় মেটাতে গিয়ে রোগীর স্বজনদেরর নাভিশ্বাস উঠেছে। খরচ কুলাতে না পেরে অনেকে জমিজমা বিক্রি করে ব্যয় মেটাচ্ছেন।
চলতি বছর ডেঙ্গুর ধরন পরিবর্তন হওয়ায় আক্রান্তদের শরীরে নানা ধরনের জটিলতা দেখা দিচ্ছে। জ্বর, ডায়রিয়া, বমি, পেট ও ফুসফুসে পানি জমাসহ ডেঙ্গু শক সিনড্রোম ও ডেঙ্গু হেমরোজিক ফিভারে অধিকাংশ রোগীর নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ ও পিআইসিইউ) প্রয়োজন হচ্ছে।
ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে ইত্তেফাকের প্রথম পাতার খবর, “ডেঙ্গু বিস্তার রোধে মশা নিধন ও চিকিৎসা দুটোই সংকটে”।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, দেশে ডেঙ্গু ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। ক্রমাগত চরিত্র পালটাচ্ছে এডিস মশা। গত বছর প্রথম ৯ মাস ১০ দিনে যত ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী মারা গেছে এবার মৃতের সংখ্যা তার চেয়ে প্রায় ২২ গুণ বেশি। তারপরও মশক নিধন ও চিকিৎসা দুটিই সংকটে রয়েছে।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলেন, মশা মারার কার্যকর পদক্ষেপ নেই। দ্রুত মশা মারার সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। একই সঙ্গে যেহেতু এডিস মশার চরিত্র পালটেছে, তাই চিকিৎসা পদ্ধতিও পরিবর্তন করতে হবে।
ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসাসেবা ব্যবস্থাপনা নির্ধারণে জাতীয় কমিটি গঠনের তাগিদ দেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।