গাজার হাসপাতালে হামলার ঘটনার পর টাইম ইজ ওভার, বলছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের সংঘাত চলছে টানা প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে। ইরান এই সংঘাতের শুরু থেকেই লড়াই আরও ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকির কথা বলে আসছিল।
এবার অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার একটি হাসপাতালে ইসরায়েলের ভয়াবহ হামলায় ৫০০ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে দেশটি। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, টাইম ইজ ওভার।
একইসঙ্গে বিশ্বজুড়ে সবাইকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি। বুধবার (১৮ অক্টোবর) এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
কাতারভিত্তিক এই সংবাদমাধ্যমটি বলছে, গাজা শহরের আল-আহলি আরব হাসপাতালে ‘এক হাজারেরও বেশি নিরপরাধ নারী ও শিশুর ওপর গণহত্যা চালানোর’ পর ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আবদুল্লাহিয়ান ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী সাবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে তিনি লিখেছেন, ‘হাসপাতালে বোমাবর্ষণ করে এক হাজারেরও বেশি নিরপরাধ নারী ও শিশুকে গণহত্যার মতো ইহুদিবাদী শাসকগোষ্ঠীর ভয়ানক অপরাধের পর আইএসআইএস এর চেয়েও ঘৃণ্য এই ভুয়া শাসনের বিরুদ্ধে মানবতার বৈশ্বিক ঐক্যের সময় এসেছে।’ এতে তিনি আরও বলেন, ‘টাইম ইজ ওভার (সময় শেষ)।’
প্রসঙ্গত, ফিলিস্তিনির অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার ওই হাসপাতালে মঙ্গলবার ভয়াবহ হামলা চালায় ইসরায়েল। ওই এক হামলায় একসঙ্গে ৫০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে জানায় গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।আল-আহলি আরব নামের ওই হাসপাতালটিতে অসংখ্য আহত ও অসুস্থ মানুষ চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। এছাড়া দখলদার ইসরায়েলিদের হামলা থেকে বাঁচতেও অনেক মানুষ ‘নিরাপদ আশ্রয়’ ভেবে হাসপাতালটিতে অবস্থান নিয়েছিলেন।
ইসরায়েল চূড়ান্ত সীমা অতিক্রম করেছে: মাহমুদ আব্বাস
বাইডেনের সফর বাতিল করে দিল জর্ডান
জীবন বাঁচাতে আশ্রয় নিয়েছিলেন হাসপাতালে, সেখানেই ঝরে গেল ৫০০ প্রাণ
গাজার হামাস নিয়ন্ত্রিত সরকার হাসপাতালের ওপর এ হামলাকে ‘যুদ্ধাপরাধ’ হিসেবে অভিহিত করেছে। গত ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচার বিমান হামলায় মঙ্গলবার পর্যন্ত ৩ হাজার ফিলিস্তিনির মৃত্যুর তথ্য জানিয়েছিল হামাস। এরমধ্যেই হাসপাতালে চালানো হলো ভয়াবহ হামলা।
সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, ওই হাসপাতালটির একটি হলরুমে কয়েকশ বাস্তুচ্যুত মানুষ আশ্রয় নিয়েছিলেন। মূলত বিমান হামলা থেকে বাঁচতেই হাসপাতালে গিয়েছিলেন তারা। তবে সেখানেও চালানো হয় ইসরায়েলি নৃশংসতা।