গ্রেপ্তার হয়েছিলেন মাদক মামলায়। ২৮ দিন জেলও খেটেছিলেন। তারপর জামিন পান। তবে ওই গ্রেপ্তার আর মামলার জেরে বিতাড়িত হন বনানীর ভাড়া বাসা থেকে। এরপর কত কিছুই না ঘটে গেল আলোচিত পরীমনির জীবনে। নায়িকা বিয়ে করলেন, বছর দুই না যেতে সেই সংসার ভেঙেও গেল।
এখানেই শেষ নয়, মাত্র ৪ বছর বয়সে মা হারান পরীমনি। মানুষ হন পিরোজপুরে নানা শামসুল হক গাজীর কাছে। একটু বড় হতে বাবা মনিরুল হককেও হারান। এভাবে কম ঝড় বয়ে যায়নি এই নায়িকার জীবনে। তবুও তিনি অটল, ভেঙে পড়েননি কখনোই। যা অবাক করে অনেককেই।
মনে তীব্র জোর থাকলেই কেবল এত প্রতিকূলতা আর ঝড়-ঝাপটা পেরিয়ে একটা মানুষের টিকে থাকা সম্ভব। চিত্রনায়িকা পরীমনির তা রয়েছে বলেই হয়তো তিনি কোনো ঝড়েই সেভাবে ভেঙে পড়েননি। তার মনের এত জোরের উৎস কোথায়? জানতে আগ্রহী নায়িকার ভক্ত-অনুরাগী, শুভাকাঙ্ক্ষী সবাই।
সবার সেই জানার আকাঙ্খা অবশেষে পূরণ করলেন পরীমনি স্বয়ং। অভিনেত্রী ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়ে জানালেন, মনের এত জোর তিনি কোথায় পান।
বুধবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটা ভিডিও পোস্ট করেন পরীমনি। সেখানে দেখা যায়, নায়িকা ছেলে শাহীম মুহাম্মদ রাজ্যর সঙ্গে খুনসুটিতে মেতেছেন নানা শামসুল হক গাজী। ক্যাপশনে নায়িকা লেখেন, ‘এই যারা বলেন আমার এত মনের জোর কোথায় পেয়েছি! এই যে দেখেন এটা হলো বংশীয় ধারা।’
পরীমনি এও লিখেছেন, ‘ছোট খাটো একটা ওটি হবে আমার নানার। দোয়া করবেন।’ অর্থাৎ, নায়িকার নানার অপারেশন হওয়ার কথা জানান তিনি। ইতোমধ্যে হয়ে গেছেও।
জ্বরে আক্রান্ত হয়ে পরীমনি কয়েকদিন ধরে যেখানে ভর্তি আছেন, সেই এভারকেয়ার হাসপাতালেই হয়েছে তার নানা শামসুল হক গাজীর অপারেশন। যদিও তিনি কিসের অপারেশন হয়েছেন তা জানা যায়নি।
মা-বাবা হারিয়ে এতিম হওয়ার পর থেকে এই নানাই পরীমনির সুখ-দুঃখের সাথী। মাঝে অভিনেতা শরীফুল রাজকে বিয়ে করে নতুন সাথী পেয়েছিলেন ঠিকই, কিন্তু তাকে ধরে রাখতে পারেননি। ভেঙে গেছে তাদের সংসার। রাজকে তালাক দেয়ায় বর্তমানে ছেলে আর নানাকে নিয়ে পরীমনির পৃথিবী।