logo
আপডেট : ২২ অক্টোবর, ২০২৩ ১০:৩৫
পশ্চিম তীরে শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলের হামলায় নিহত ১৩
নিজস্ব প্রতিবেদক

পশ্চিম তীরে শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলের হামলায় নিহত ১৩

পশ্চিম তীরে একটি শরণার্থী শিবিরে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে ১৩ জন নিহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। ফিলিস্তিন শরণার্থীদের জন্য কাজ করা জাতিসংঘের ত্রাণ ও কর্ম সংস্থা (ইউএনআরডবিউএ) জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে পাঁচজনই শিশু। পশ্চিম তীরের নুর শামস শরণার্থী শিবিরে হামলা চালানো হয়েছে। খবর বিবিসির।

এক বিবৃতিতে ইউএনআরডবিউএ আরও জানিয়েছে যে, এক ইসরায়েলি সেনাও নিহত হয়েছে। এছাড়া আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।

এদিকে ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্স (আইডিএফ) জানিয়েছে, তারা ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরের জেনিনে হামাসের একটি সেল লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালিয়েছে। ফিলিস্তিনি গণমাধ্যমকে উদ্ধৃত করে বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, স্থানীয় সময় রোববার ভোরে ওই হামলায় অন্তত দুজন নিহত এবং অনেকে আহত হয়েছে।

অপরদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, গাজায় ইসরায়েলের সম্ভাব্য স্থল অভিযানের বিষয়টি নিয়ে ইসরায়েলিদের সঙ্গে তিনি কথা বলছেন। তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল যে তিনি গাজায় ওই অভিযান বিলম্বিত করতে বলেছেন কি না। জবাবে বাইডেন শুধু বলেছেন, ইসরায়েলিদের সঙ্গে আলোচনা করছি।

ইসরায়েল এর মধ্যেই গাজাকে ঘিরে ফেলেছে এবং জরুরি সামগ্রীর সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে। ইসরায়েলের দখলকৃত পশ্চিম তীরে ২০ লাখের বেশি ফিলিস্তিনি বসবাস করে। গত ৫০ বছরে ইসরায়েল পশ্চিম তীর এবং পূর্ব জেরুজালেমে বিপুল সংখ্যক বসতি স্থাপন করেছে যেখানে এখন প্রায় সাত লাখ ইহুদি বসবাস করে।

যদিও আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী, এ ধরনের বসতি বৈধ নয়। চলতি বছর পশ্চিম তীর এবং পূর্ব জেরুজালেমে সহিংসতায় সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

আইডিএফ সামাজিক মাধ্যম এক্সে করা এক পোস্টে জানিয়েছে, তারা মূলত একটি মসজিদ লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালিয়েছে। ওই মসজিদটি বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলার কমান্ড সেন্টার হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছিল বলে তারা দাবি করেছে।

ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলেছেন, হামাসকে লক্ষ্য করে বিমান হামলা আরও জোরদার করা হবে এবং তিনি গাজার অধিবাসীদের মধ্যে এখনো যারা সেখানে অবস্থান করছেন তাদেরকে দক্ষিণাঞ্চলে সরে যেতে বলেছেন।