অব্যাহত ইসরায়েলি হামলা ও জ্বালানি সরবরাহ না থাকায় ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় একের পর এক হাসপাতালে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) আল জাজিরা তাদের লাইভ আপডেট প্রোগ্রামে এ তথ্য জানিয়েছে।
খবরে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর থেকে গাজায় এখন পর্যন্ত ৪০টি হাসপাতাল ও চিকিৎসা কেন্দ্র বন্ধ হয়ে গেছে। মূলত, হাসপাতালগুলো তাদের কার্যক্রম স্থগিত করে দিয়েছে। জ্বালানি সরবরাহ না থাকায় এ সিদ্ধান্ত বাধ্য হয়ে নিতে হয়েছে।
উত্তর গাজার বৃহত্তম বেসরকারি ইন্দোনেশিয়ান হাসপাতাল জানিয়েছে, এটি তাদের নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটের (আইসিইউ) মতো শেষ গুরুত্বপূর্ণ বিভাগগুলো ছাড়া সব কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে।
উত্তর গাজায় সর্বশেষ একমাত্র হিসেবে রোগীদের সেবা দিচ্ছিল বেইট হানুন হাসপাতাল। সেটিও তীব্র ইসরায়েলি বোমা হামলার কারণে অপারেশন বন্ধ করে দিয়েছে।
হাসপাতালের পরিচালক আতেফ আল-কাহলুত বলেন, যদি হাসপাতাল জ্বালানি না পায়, তাহলে এটি উত্তর গাজার রোগীদের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ড হতে চলেছে।
মঙ্গলবার পর্যন্ত কয়েকটি হাসপাতালে জ্বালানি ছিল। কিন্তু সময় যত গড়িয়েছে ফুরিয়েছে এ শক্তি। হাসপাতালগুলোর ইলেকট্রিক জেনারেটর চলতে চলতে বন্ধ হয়ে গিয়েছে। চিকিৎসকরা আগে থেকেই বলছিলেন, সঠিক সময়ের মধ্যে জ্বালানির ব্যবস্থা করা না গেলে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে যাচ্ছে।
এ অবস্থায় গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল কুদরো মঙ্গলবার সকালে টেলিগ্রামে এক বিবৃতিতে বলেন, গাজায় খুবই ধীর গতিতে মানবিক সহায়তা আসছে এবং এটা প্রকৃত অবস্থার কোনো পরিবর্তন আনতে পারবে না। ইতিহাসের সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় পৌঁছেছে গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা।
এর আগে গতকাল সোমবার তিনি ৩২টি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কার্যক্রম বন্ধ হওয়ার তথ্য দেন।