লখনৌয়ের অটল বিহারি বাজপেয়ী একানা ক্রিকেট স্টেডিয়াম খুব একটা ব্যাটিং বান্ধব নয়। স্লো উইকেট। রান ওঠে ধীরে। যে কারণে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে বড় স্কোর গড়তে পারেনি ভারত। তবুও রোহিত শর্মা, সুর্যকুমার যাদব এবং লোকেশ রাহুলের ব্যাটিং দৃঢ়তায় ইংল্যান্ডের সামেন ২৩০ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়েছে স্বাগতিকরা।
টস জিতে ভারতকে ব্যাটিংয়ে পাঠানোর সিদ্ধান্তটা যে যুক্তিযুক্ত ছিল, সেটা দেখিয়ে দিচ্ছেন ইংলিশ বোলাররা। একমাত্র রোহিত শর্মা ছাড়া বিশ্বচ্যাম্পিয়ন বোলারদের সামনে দাঁড়াতে পারছে না আর কোনো ভারতীয় ব্যাটার। যার ফলে এবারের বিশ্বকাপে এই প্রথম কোনো ম্যাচে কিছুটা ব্যাকফুটে স্বাগতিক ভারত।
লখনৌর অটল বিহারি বাজপেয়ী একানা স্টেডিয়ামে টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ইংলিশ অধিনায়ক জস বাটলার। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে রোহিত শর্মা এবং শুভমান গিলের সূচনাটা ছিল মোটামুটি ভালো। ৪ ওভারে ২৬ রানের জুটি গড়েন তারা।
কিন্তু ১৩ বলে ৯ রান করে ক্রিস ওকসের বলে শুভমান গিল বোল্ড হয়ে যাওয়ার পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পড়তে শুরু করে ভারতের। বিরাট কোহলি তো দাঁড়াতেই পারেননি। ৯ বল খেলে কোনো রানই করতে পারেননি তিনি। ডেভিড উইলিয়ার বলে স্টোকসের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তিনি।
স্রেয়াশ আয়ারের ব্যাটও কথা বলেনি। ক্রিস ওকসের বলে মার্ক উডের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন মিডল অর্ডার এই ব্যাটার। ৪০ রানে যখন ৩ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে শুরু করে ভারত, তখন একটা ভালো জুটি গড়ে তোলেন রোহিত শর্মা এবং লোকেশ রাহুল। ৯১ রানের জুটি গড়ে ওঠে এই দু’জনের ব্যাটে।
তবে ৫৮ বলে ৩৯ রান করে ডেভিড উইলিয়ার বলে জনি বেয়ারেস্টোর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান লোকেশ রাহুল। সুর্যকুমার যাদবের সঙ্গে জুটি বাধেন রোহিত। কিন্তু ৩৩ রানের জুটি গড়ার পর বিদায় নেন রোহিত শর্মা। ১০১ বল খেলে ৮৭ রান করে আদিল রশিদের বলে লিয়াম লিভিংস্টোনের হাতে ক্যাচ দেন তিনি। ১০টি বাউন্ডারির সঙ্গে ৩টি ছক্কার মার ছিল রোহিতের ইনিংসে।
রবিন্দ্র জাদেজাও দাঁড়াতে পারলেন না ইংলিশ বোলারদের সামনে। ১৩ বলে ৮ রান করে আদিল রশিদের বলে আউট হয়ে যান তিনি। মোহাম্মদ শামি মাঠে নেমে ১ রান করে উইকেট দেন মার্ক উডের বলে উইকেটের পেছনে জস বাটলারের হাতে ক্যাচ দিয়ে।
সুর্যকুমার যাদবের জন্য আফসোস। ১ রানের জন্য হাফ সেঞ্চুরি মিস করলেন। ডেভিড উইলির বলে ক্রিস ওকসের হাতে ক্যাচ দিয়ে তিনি ফিরে যান ৪৯ রান করে। ২৫ বলে ১৬ রান করে রানআউট হয়ে যান জসপ্রিত বুমরাহ। ৯ রানে অপরাজিত থাকেন কুলদিপ যাদব।
শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেট হারিয়ে ২২৯ রানে থামে ভারতের ইনিংস। ইংল্যান্ডের হয়ে ৪৩ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন ডেভিড উইলি। ২টি করে উইকেট নেন ক্রিস ওকস এবং আদিল রশিদ। ১টি উইকেট নেন মার্ক উড।