পানি সম্পদ উপমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম এমপি বলেছেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ যখন উন্নয়ন দিয়
উন্নত দেশের পথে, তখন বিএনপি উন্নয়ন দেখে না।বিএনপি আন্দোলনের নামে মানুষ হত্যা করেছে,
পুলিশ হত্যা করেছে, পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছে, জাজেস কমপ্লেক্সে হামলা করেছে, হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে এবং প্রধান বিচারপতির বাড়িতে হামলা চালিয়েছে। তারা ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য আন্দোলনের নামে আবারও মানুষ হত্যার রাজনীতি শুরু করেছে।
উপমন্ত্রী বলেন, শনিবার সন্ধ্যায় বিএনপি অফিসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের উপদেষ্টা পরিচয়ে বক্তব্য দেওয়া ব্যক্তি ইসরাইলের এজেন্ট। মার্কিন দূতাবাস ইতোমধ্যে পরিষ্কার করেছে তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা নন। মার্কিন দূতাবাস তাকে চেনেই না। বিএনপি জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে জাতিকে বিভ্রান্ত করছে।
আজ(সোমবার) শরীয়তপুরের নড়িয়া ও ভেদরগঞ্জ উপজেলার প্রায় ১০ হাজার কৃষকের মাঝে রাসায়নিক সার, বীজ ও চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
উপমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের ৫২ বছরের ইতিহাসে কখনো প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা হয়নি।
৭১'এ পাকিস্তানি সেনাবাহিনী রাজারবাগে হামলা চালিয়েছিল। শনিবার বিএনপি-জামায়াত একই কায়দায় রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে। কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে হামলা চালিয়ে ১৯টি গাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছে, অ্যাম্বুলেন্সসহ ভাঙচুর করেছে।
এনামুল হক শামীম বলেন, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের দূর্নীতি ও দেশের সম্পদ লুটপাটের কথা এদেশের মানুষ ভোলে নাই। বিএনপিও তাদের মতো গণধিকৃত দল আর কখনোই ক্ষমতা আসতে পারবে না। তাই তারা পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে।
আওয়ামী লীগের সাবেক এই সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, ২০০৮ সালে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর বিশ্ব আদালতে মামলা করে ভারত-মিয়ানমার থেকে সমুদ্র জয় করেছেন। সরকারি অর্থায়নে একযোগে সারাদেশে মডেল মসজিদ নির্মাণ করেছেন। বর্তমান সরকার দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে পদ্মা সেতু বানায়, মেট্রো রেল করে, কর্ণফুলী টানেল নির্মাণ করে। বিএনপি যতই আন্দোলন করুক কাজে আসবে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়াই তাদের নির্বাচন করতে হবে। বিএনপি'র জনপ্রিয়তা থাকলে নির্বাচনে এসে জনপ্রিয়তা যাচাই করুক।
শামীম বলেন, কৃষিবান্ধব সরকার প্রধান হিসেবে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বিশ্বসেরা। সেজন্য সরকার কৃষিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে। স্বল্পসুদে কৃষকদের কৃষিঋণ প্রধান করছে, সার, সেচসহ সকল কৃষি উপকরণের দাম কমিয়েছে এবং কৃষি উপকরণ সহজলভ্য করেছে। কৃষকের যাতে কোনো কষ্ট না হয় তাই সরকার সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। অথচ, বিএনপি’র শাসনামলে কৃষি উপকরণের জন্য কৃষকদেরকে হাহাকার করতে হয়েছিল। সারের জন্য আন্দোলন করতে হয়েছিল। বিএনপি সারের দাবিতে আন্দোলনরত ১৮জন কৃষককে হত্যা করেছিল। তাই এদেশের জনগণ বারবার রায় দিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় এনেছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেম জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অনল কুমার দে, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. রবীআহ নূর আহমেদ, ভেদরগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির মোল্যা, ভেদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন, নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শংকর চন্দ্র বৈদ্য, নড়িয়া পৌরসভার মেয়র আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক মাল, সাধারণ সম্পাদক হাসানুজ্জামান খোকন, উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান জাকির বেপারী, মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান নাজমা মোস্তফা প্রমূখ।
এর আগে নড়িয়ায় টিআর প্রকল্পের ৪৫ লাখ ৯৫ হাজার টাকার চেক বিতরণ করেন উপমন্ত্রী।