আগামী সপ্তাহে আসছে বিএনপির ‘অসহযোগ’ – সমকালের শিরোনাম। পত্রিকাটি বলছে বিএনপি তাদের সমমনাদের নিয়ে সরকার পতনে এক দফার চূড়ান্ত আন্দোলনে টানা কর্মসূচির পরিকল্পনা করছে।
রোববার থেকে ৪৮ ঘন্টার অবরোধ শেষে একদিন বিরতি দিয়ে বুধবার থেকে আবারও দুদিনের অবরোধ দেবে। আর ১২ই নভেম্বর থেকে তারা বিরতিহীন কিংবা অসহযোগ আন্দোলনে নামতে যাচ্ছে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
কেউ আগুন দিলে তাকে সেই আগুনেই ফেলা উচিত: প্রধানমন্ত্রী - ইত্তেফাকের শিরোনাম এটি।
খবরে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা আগুন সন্ত্রাসীদের ব্যাপারে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন অবরোধের নামে কেউ আগুন দিতে এলে তাকে সেই আগুনেই ফেলে দেয়া উচিত। তা হলে তারা সিধে হবে, না হলে হবে না। যে যেমন তার সঙ্গে তেমনটি করতে হয়। যেমন কুকুর তেমন মুগুর দিতে হয়।
নির্বাচনের আগে ষড়যন্ত্রকারীদের বিষয়ে সতর্ক থাকতে দলের নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেন তিনি। শুক্রবার জেল হত্যা দিবস উপলক্ষ্যে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে শেখ হাসিনা বলেন, অবরোধের নামে অগ্নিসন্ত্রাস করে আর যেন একটাও পার না পায়।
ইংরেজি দৈনিক নিউ এজ লিখেছে - PM asks AL leaders to resist arsonist অর্থাৎ আগুন সন্ত্রাসীদের ঠেকাতে আওয়ামী লীগ নেতার আহবান জানালেন প্রধানমন্ত্রী। খবরে বলা হয় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা তার দলের নেতা কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন শুধু ঢাকা নয় সবখানে আগুন সন্ত্রাসীদের প্রতিহত করতে হবে। জনগণের জানমাল রক্ষায় দোষীদের ধরে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে তুলে দিতে বলেন তিনি।
যে যার অবস্থানে অনড়, দেশব্যাপী ৪৮ ঘন্টার অবরোধ কাল শুরু – দৈনিক যুগান্তরের শিরোনাম। এই খবরে বলা হয়েছে, সংবিধান অনুযায়ী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দুই মাস বাকি। তবে এখনো নির্বাচন নিয়ে পরস্পরবিরোধী অবস্থানে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি।
আলোচনায় বসে সমঝোতার কোনো আভাসও পাওয়া যাচ্ছে না। সংবিধানের বাইরে যাবে না ক্ষমতাসীন দল। বিএনপিও দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দাবি আদায়ে দ্বিতীয় দফায় দেশব্যাপী সড়ক-রেল-নৌপথ ও রাজপথে ৪৮ ঘণ্টার সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি দিয়েছে, যা আগামীকাল ভোর ছয়টা থেকে শুরু হবে।
চূড়ান্ত এ আন্দোলন সফলে দলটি এবার ভিন্ন কৌশলে এগোচ্ছে। তফসিলের আগেই তারা ফয়সালা চায়। অন্যদিকে বিএনপিকে কোনো ধরনের ছাড় দিতে রাজি নয় আওয়ামী লীগ। যে কোনোভাবেই রাজপথের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে চায়।
সাতদিনের মধ্যে জাতীয় সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের আলটিমেটাম – ইসলামী আন্দোলনের মহাসমাবেশ নিয়ে বণিক বার্তার শিরোনাম। বলা হয় সাতদিনের মধ্যে সরকারের পদত্যাগ এবং জাতীয় সরকার গঠনের আলটিমেটাম দিয়েছে ইসলামী আন্দোলন।
রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গতকাল দলটির মহাসমাবেশে এমন আলটিমেটাম দেন দলের আমির সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম। ১০ নভেম্বরের মধ্যে দাবি না মানলে কঠোর কর্মসূচি দেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
আন্দোলনে থাকা দলগুলো ইসির সংলাপে যাচ্ছে না – নয়া দিগন্তের অন্যতম প্রধান শিরোনাম। এখানে বলা হয় নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার দাবিতে আন্দোলনে থাকা বিএনপিসহ নিবন্ধিত দলগুলো নির্বাচন কমিশনের আমন্ত্রণে বৈঠকে যাচ্ছে না।
বিএনপি ইসির চিঠি গ্রহণই করেনি। যদিও নিবন্ধিত অন্যান্য দলগুলো আমন্ত্রণ পেয়েছেন। তবে তারা বলছেন, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি মানা হচ্ছে না। ফলে এই ইসির সংলাপে যাওয়ার কোনো অর্থই হয় না। বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১২ দলীয় জোটের নিবন্ধিত দলগুলোও ইসির সংলাপে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
ফলে ইসির এই আয়োজন কতটা সফল হবে তা নিয়ে এখন প্রশ্ন রাজনৈতিক দলগুলোর এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। আজ একই দিনে ৪৪টি দলের সাথে সংলাপে বসার কথা নির্বাচন কমিশনের।
গ্রেপ্তার চ্যালেঞ্জে বিএনপির নেতৃত্ব – দেশ রুপান্তরের শিরোনাম। এতে বলা হচ্ছে মহাসমাবেশ ঘিরে সহিংসতার পর বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতাদের একের পর এক গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। দ্বিতীয় সারির কয়েকজন নেতাকে আটক করা হয়েছে। ঢাকার বাইরেও দলটির বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী গ্রেপ্তার হয়েছেন।
মহাসমাবেশে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা মামলায় দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, মিডিয়া সেলের আহবায়ক জহিরউদ্দিন স্বপন, যুগ্ম মহাসচিব মজিবুর রহমান সরোয়ার ছাড়াও ঢাকা মহানগরের আমিনুল ইসলাম ও মিরাজকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার এড়াতে দলটির নেতাকর্মীরা আত্মগোপনে চলে গেছেন।
এ অবস্থায় আন্দোলনে নেতৃত্ব এবং আন্দোলন সফল হবে কি না, তা নিয়ে একধরনের চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে। তবে বিএনপি এই পরিস্থিতিকে চ্যালেঞ্জ মনে করছে না। দলটির নেতারা বলেছেন, বিকল্প নেতৃত্ব তৈরি আছে। ধরপাকড়েও তাদের টলানো যাবে না।
BNP looks for options other than blockade - অর্থাৎ পরবর্তী ধাপের আন্দোলনে অবরোধ ছাড়া ভিন্ন উপায় খুঁজছে বিএনপি, ডেইলি স্টারের শিরোনাম।
বলা হচ্ছে একের পর এক শীর্ষ নেতার গ্রেপ্তারের পরও নিরপেক্ষ অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের দাবিতে বিএনপি তাদের কর্মসূচি চালিয়ে যাবে বলে দলটির নেতারা নিশ্চিত করেছেন। তবে একইসাথে তারা তাদের কৌশলে পরিবর্তন আনার চিন্তা করছেন, কারণ অবরোধ দীর্ঘসময় দিয়ে রাখলে এর কার্যকারিতা কমে যেতে পারে।
এছাড়া দীর্ঘদিন ধরে জনগণের যে সহানুভূতি তারা অর্জন করেছেন সেটাও হারিয়ে যেতে পারে বলে মনে করছে দলটির নেতৃত্ব। সামনে তাই নতুন কর্মসূচির ঘোষণা আসতে পারে।
BNP leaders Khasru, Swapan placed on six-day remand – দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের শিরোনাম এটি। বিস্তারিত বলা হয় ঢাকার একটি আদালত বিএনপি নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং জহির উদ্দিন স্বপনকে পুলিশ হত্যা মামলায় ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে।
শুক্রবার গুলশানের বাসভবন থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর বিকালে তাদের ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। এরপর ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। অন্যদিকে তাদের আইনজীবি জামিনের আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত।
সংবাদপত্রছবির উৎস,বিবিসি বাংলা