logo
আপডেট : ১০ নভেম্বর, ২০২৩ ১০:৫৬
গল্প
গোস্ত
সংগৃহীত


গোস্ত

ছাত্র : "স্যার" আজ মায়ের রান্না করতে দেরি হয়েছে । তাই আমারও আসতে দেরি হয়েছে । 

স্যারঃ এটা হলো তোদের অজুহাত  । হাত পাত তোর ২০ মিনিট দেরি হয়েছে ।  তারজন্য ৫ টা বেতের বাড়ি খেতে হবে । 
ছাত্র : স্যার মাফ করে দেন ।  আর কোনোদিন দেরি হবে না ।  
স্যারঃ না কোনো মাফ হবে না ।  হাত সামনে দে !! 
ঠাসঠাসঠাসঠাস..... বে'তে'র আ'ঘা'ত...
স্যারঃ এখনো দুইটা বাকি আছে ।  হাত বের কর ! 
ছাত্র :  (কান্না করে) স্যার আর মাইরেন না আমার হাতটা খুব  ‌ব্যথা করছে । 
স্যারঃ কান্না করে লাভ নেই ।  এটাই তোর শিক্ষা । 
ছাত্র  স্যার একটা কথা বলবো ?? 
স্যারঃ কি বলবি বল  !  
ছাএঃ 'স্যার' আপনার মেয়ে কোনোদিন পানতা ভাত আর শুকনা ঝাল দিয়ে ভাত খেয়েছে । পানতা ভাত আর পাতলা ডাল দিয়ে ভাত খেয়েছে । 
স্যারঃ (একটু অবাক) না খায়নি  ?  আমার মেয়ে প্রতিদিন মাংস দিয়ে ভাত খাই । 
ছাএঃ "স্যার" আজ স্কুলে আসতে দেরি হয়েছে কেনো জানেন দুইটা মাস ধরে বাবাকে বলছি গোস্তো দিয়ে ভাত খাব ।  কিন্তু প্রতিদিন বলে মনে নেই, দোকান বন্ধ এইসব বলে । কাল অনেক রাতে বাবা হাফ কেজি গোস্তো নিয়ে এসেছে ।  আমি ঘুমিয়ে ছিলাম তাই হয়তো ডাকেনি । 
সকালে যখন গোস্তো দেখলাম আমার খুব গোস্তো দিয়ে ভাত খেতে ইচ্ছে হচ্ছিল , মা কে বললাম গোস্তো দিয়ে ভাত খাব,  মা তাড়াতাড়ি করে রান্না করে দিয়েছে । তাই পেট ভরে ভাত খেয়ে স্কুলে আসতে দেরি হয়েছে । 
স্যার আপনার মেয়ে গোস্তো ছাড়া ভাত খায় না আর আমি সব সময় পাতনা ভাত আর ডাল, আলু ভত্তা এগুলো প্রতিদিনের রুটিন ।  আমি ২ মাস ধরে বলে বলে তারপর ১ দিন গোস্তো দিয়ে ভাত খেলাম তাও আপনি আমাকে মা/র/লে'ন । 
স্যারঃ ছাএকে বুকে জড়িয়ে নিয়ে কেদে দিলো ।