ঢাকা জেলার আশুলিয়া এলাকা হতে গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীর পল্টন এলাকায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সমাবেশে নৃশংসভাবে পিটিয়ে পুলিশ সদস্য হত্যা মামলার এজাহার নামীয় অন্যতম আসামী ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি যুগ্ম আহবায়ক ও সাভার উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা (৫৩)'কে গ্রেফতার করেছে র্যাব ৪।
র্যাব জানায়, ৯ নভেম্বর রাতে র্যাব-৪ এর একটি আভিযানিক দল ঢাকা জেলার আশুলিয়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীর পল্টন এলাকায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সমাবেশে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যকে নৃশংসভাবে পিটিয়ে হত্যা মামলার এজাহার নামীয় অন্যতম আসামী ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি'র যুগ্ম আহবায়ক ও সাভার উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা (৫৩) কে গ্রেফতার করে।
গত ২৮ অক্টোবর ২০২৩ তারিখ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সমাবেশে পল্টন এলাকার কালভার্ট রোডের পূর্বপ্রান্তে আইন-শৃংখলা রক্ষায় পুলিশ সদস্যরা দায়িত্বরত ছিলেন। ঐদিন দুপুর ৩.০০ ঘটিকার সময় কতিপয় দুষ্কৃতিকারী আকস্মিকভাবে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা চালায়। উক্ত ঘটনায় বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হন। সেসময় পুলিশ সদস্য কনস্টেবল আমিরুল আত্মরক্ষার্থে ডিআর টাওয়ারে প্রবেশ করার চেষ্টা করলে কয়েকজন দুস্কৃতিকারী তাকে রাস্তার ওপর ফেলে এলোপাতাড়ি ইট, লাঠি ও রড দিয়ে মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে নৃশংসভাবে আঘাত করে যার ফলে পুলিশ সদস্য কনস্টেবল আমিরুল গুরুতর আহত হন। পরবর্তীতে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কতর্ব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। উক্ত ঘটনা ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে এবং দেশের সকল প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় প্রচারিত হলে তা ব্যাপক আলোচিত হয়। র্যাব উক্ত নৃশংস ও বর্বর হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, গ্রেফতারকৃত আসামী গোলাম মোস্তফা (৫৪), ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি'র যুগ্ম আহবায়ক ও সাভার উপজেলা বিএনপি'র সাধারণ সম্পাদক। গত ২৮ অক্টোবর ২০২৩ তারিখ পল্টন এলাকায় কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের উপর হামলা ও পুলিশ কনস্টেবল আমিরুল ইসলাম হত্যাকাণ্ডে ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিলেন। উল্লেখ্য যে,তার বিরুদ্ধে সাভারসহ রাজধানীর বিভিন্ন থানায় মারামারি, হত্যা, অগ্নিসংযোগ, ভাংচুর, নাশকতাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।