
আমার কবিতা সে কারো চোখে কান্না হয়ে ঝরে
হেসে উঠে খিলখিল করে
লেবেনচুষ হাতে পাওয়া নেংটো কোনো শিশু,
প্রিয়ার দুগালে
নাও বায় উজানের মাঝি সাতরঙা পালে
ঘাটে এসে ভিড়ায়ে তরী তরীর গলুইয়ে বসে
না গাওয়া ভাটিয়ালি তাহার পরশে
সুর পায়, আঁচল সরায়ে পড়ে প্রেমময় গদ্য কবিতা
পরান গহীনে খুঁজে অনন্তের কবিবর মিতা সুচরিতা
রাস্তায় অলি গলি ছোঁয়ে যায়
আমার করুণ গান বেদনার শিরায় শিরায়
মৃত্যু হয়ে শাসায় আমাকে
অস্তিত্বে হুমকি শুনি শ্বাস এসে থেমে থাকে নাকে
মুখ থুবড়ে পড়ি অজানা বিপাকে
নগরীর অন্ধকারে আঁধার জোনাকীরা দেয় আলো
বজ্রে বিজুরি নাচে ঝলমলে হাসি চমকালো
পায়ের নোখের থেকে কেশের অগ্রভাগে তার
সৌন্দর্য ছড়ায়ে আছে
তার থেকে কে পায় নিস্তার
বলো
মনের মনুয়া মজে মজার মদিরারসে রসস্নানে ভরাডুবি হলো
যৌবন স্থিতধি স্থির মাঝপথে মিছিলের মুখে
আমার কবিতা তবে মরে যাবে এইভাবে
ধুকে ধুকে অসুখে বিসুখে?
ব্রহ্মপুত্রের পাড়ে এসো জীবনের প্রতিধ্বনি শুনি
দেখবে দুটি পাখি পাশাপাশি নিরুদ্বিগ্ন টোনাটুনি
চঞ্চুতে ভালোবাসা আদর আতর মাখে প্রেমে
জবরদখল নয় জেগে উঠা চরের জমিনে
জোছনার বীজ বোনে
কবিতার মীড়ে মীড়ে শোধ দিতে ঋণে
দূরের নক্ষত্রলোক তারার পৃথিবী ছেড়ে
ধুলোর ধুসরে এলো ধীরে নেমে।
কোথাও থেকে যেতে চাই
সে আমার দ্বিতীয় জীবন কাব্যলক্ষ্মী
তাই..তাই...তা.ই..