logo
আপডেট : ২৭ নভেম্বর, ২০২৩ ০৯:৩০
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন
জানাতে হবে ব্যয়ের উৎস, এজেন্ট ছাড়া খরচ করলেই ৭ বছরের জেল
নিজস্ব প্রতিবেদক

জানাতে হবে ব্যয়ের উৎস, এজেন্ট ছাড়া খরচ করলেই ৭ বছরের জেল

আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে একজন প্রার্থী কত টাকা ব্যয় করবেন এবং ব্যয় করা অর্থের উৎস কি- তা জানতে চেয়ে পরিপত্র জারি করেছে নির্বাচন কমিশন। একজন প্রার্থী শুধু ভোটের মাঠে খরচ করলেও হবে না, খরচ করা অর্থ কোন খাত থেকে আসছে তার সঠিক উৎসও ইসিকে জানাতে হবে। নির্বাচনী এজেন্ট ব্যতীত অন্য কারও মাধ্যমে অর্থ খরচ করলেই সর্বোচ্চ ৭ বছরের জেল।

রোববার (২৬ নভেম্বর) ইসির উপ-সচিব (নির্বাচন পরিচালনা-২ অধিশাখা) মো. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি পরিপত্র জারি করা হয়। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থীদের সম্ভাব্য নির্বাচনী ব্যয় নির্বাহের জন্য তহবিলের সম্ভাব্য উৎসের বিবরণী দাখিল, প্রার্থীর নির্বাচনী ব্যয় ও ব্যয় সম্পর্কিত বাধা নিষেধ, সম্ভাব্য তহবিলের উৎস দাখিল না করার অপরাধে শাস্তি এবং নিষিদ্ধ কার্যক্রম প্রতিরোধের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করবে ইসি।

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুসারে প্রত্যেক প্রার্থীকে এ আইন মানতে হবে। মনোনয়নপত্রের সঙ্গে নির্বাচনী ব্যয় নির্বাহের জন্য তহবিলের সম্ভাব্য উৎসের বিবরণী রিটার্নিং অফিসারের নিকট দাখিল করতে হবে। বিবরণীতে কিছু বিষয়াবলীর উল্লেখ করার নির্দেশ দিয়েছে ইসি।

নিজ আয় হতে যে অর্থের সংস্থান করা হবে এবং আয়ের উৎস, নিজ আত্মীয়-স্বজনের নিকট হতে ঋণ গ্রহণ করা বা তাদের স্বেচ্ছায় প্রদত্ত দান বাবদ প্রাপ্য সম্ভাব্য অর্থ এবং তাদের আয়ের উৎস জানাতে হবে।

ইসি জানায়, কোন ব্যক্তির নিকট হতে ঋণ গ্রহণ করা বা স্বেচ্ছায় প্রদত্ত দান বাবদ প্রাপ্ত অর্থ, কোন প্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক দল অথবা অন্য কোন সংস্থা হতে দেখা প্রদত্ত দান বাবদ প্রাপ্য সম্ভাব্য অর্থ, অন্য কোন উৎস্য হতে প্রাপ্য সম্ভাব্য অর্থও জানাতে হবে।

সম্ভাব্য ব্যয়ের উৎসসহ বিভিন্ন বিবরণী ও রিটার্ন জমা না দিলেই শাস্তি: গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুসারে দাখিলকৃত বিবরণীতে অর্থের উৎস জানাতে হবে। নির্বাচনী ব্যয় নির্বাহ করলে বা ৪৪ খ অনুচ্ছেদে উল্লিখিত বিধান যেমন নির্বাচনী এজেন্ট ব্যতীত অন্য কারও মাধ্যমে অর্থ খরচ করা, নির্বাচনী ব্যয়ের সীমা অতিক্রম বা কতিপয় নিষিদ্ধ কার্যক্রম গ্রহণ করলে ২ থেকে ৭ বছরের কারাদণ্ড এবং অর্থ দণ্ডেও দণ্ডিত হতে পারে।

অন্যদিকে আদেশের ৭৪ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নির্বাচনী ব্যয় নির্বাহের লক্ষ্যে সম্ভাব্য উৎসের বিবরণী ও ব্যয়ের রিটার্ন দাখিল না করলে অথবা এ সংক্রান্ত বিধি-বিধান পরিপালন না করলে দুর্নীতিমূলক অপরাধ বলে গণ্য হবে এবং এর জন্য অন্যূন ২ বছর থেকে ৭ বছর কারাদণ্ড হতে হবে।