যুদ্ধবিরতির চুক্তি ভঙ্গের অভিযোগ এনে ইসরাইল আবারো গাজায় হামলা শুরু করেছে।
অন্যদিকে ইসরায়েল বলছে, তারা আরও ৩০ ফিলিস্তিনি নাগরিককে মুক্তি দিয়েছে। হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি বাড়ার পর এসব ফিলিস্তিনি নাগরিককে মুক্তি দেওয়া হয়। ইসরায়েলের কারা-কর্তৃপক্ষ ৩০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) যুদ্ধবিরতির ৭ম দিনে আরও বেশ কয়েকজন ইসরায়েলি বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস।
এর মধ্যেই আজ শুক্রবার আবারো হামলা শুরু করলো ইসরায়েল বাহিনী।
ইসরায়েল এবং স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের মধ্যে কয়েক দফায় যুদ্ধবিরতি চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। এর অধীনে দুই পক্ষের মধ্যেই বন্দিবিনিময় হচ্ছে। কিন্তু দুই মাসের বেশি সময় ধরে গাজায় ইসরায়েলি বোমা হামলায় হাজার হাজার বেসামরিক ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ৭ অক্টোবরের পর ইসরায়েলি হামলায় ১৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৬ হাজারের বেশি শিশু রয়েছে।
তাছাড়া, ইসরায়েলের হামলায় এখনো অন্তত সাত হাজার নিখোঁজ বা ধ্বংসস্তূপের মধ্যে চাপা পড়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ফলে প্রকৃত নিহতের সংখ্যা অনেক বেশি।
এই যুদ্ধে ৩৬ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন। যাদের মধ্যে অনেকের অবস্থাই আশঙ্কাজনক। গাজার ৩৫টি হাসপাতালের মধ্যে ২৬টি হাসপাতাল কার্যকর অবস্থায় রয়েছে।