স্বপনের ঘোরে বিভোর যখনি গহীন তমসা রাতে,
প্রেয়সী আমার এসেছিল কাছে কুসুমের মালা হাতে।
জনমের তরে চেয়েছি যাহারে সে যে আজ কাছে, একি!
মায়াবিনী মুখে হাসির ঝলক অপলকে চেয়ে দেখি!
দুলিছে তাহার কপালে অলক কানেতে সোনার দুল,
চোখের চাহনি অপরূপ আর অবয়বে হুরী তুল!
নবযৌবনা!যুবতী ললনা! মোহময় ভরা বুক!
সৌষ্ঠব দেহ দৃষ্টিতে আমি পেয়েছি স্বর্গ সুখ!
হৃদয়ে যখনি মিলনের সুর গভীর নিশুতি রাতি,
প্রেয়সী তখনি কহিছে আসিয়া করো গো আমাকে সাথি!
বলিয়া প্রেয়সী ভাসিয়াছে ফের নয়ন জলের বানে,
কাছে যদি নাও আপন করিয়া রাখিব সুখের তানে!
আসিছে তাহার গুণ-গুঞ্জন ঊর্মি দোলায় ভাসি,
আবেগ মথিত ব্যকুলিয়া মনে যাই তাকে ভালোবাসি!
বাহুডোরে বেঁধে আবাহনে মেতে ভাসাই সুখের ভেলা,
উদ্দামে তনু লেহন করিয়া চলে নিধুবন খেলা!
নিয়তি তখনি নিদ্রা কাড়িয়া স্বপ্ন করিল চুর,
অভিসারিকাও নিমিষেই যেন পালিয়েছে বহু দূর!
পুলক ক্ষণের সমাপ্তি ঘটে স্বপ্ন ভাঙার রাতে,
বেদনার বারি ঝরিছে তাহাতে রাত্রি অবধি প্রাতে!