কুমিল্লায় কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী ভূমিকম্পে আতঙ্কিত হয়ে একটি পোশাক কারখানা থেকে হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে পদদলিত হয়ে ৮০ জন শ্রমিক আহত হয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
শনিবার (২ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটের দিকে জেলার চৌদ্দগ্রামে আমির শার্টস গার্মেন্টসে এ ঘটনা ঘটে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, হঠাৎ ভূমিকম্পে ভবন কেঁপে উঠলে আমির শার্টস গার্মেন্টসের শ্রমিকরা আতঙ্কিত হয়ে হুড়োহুড়ি করে নামার চেষ্টা করেন। এ সময় কারখানার প্রধান ফটক বন্ধ থাকায় গুজব ছড়িয়ে পড়ে ভবনটি ধসে পড়েছে। এতে অন্য শ্রমিকরা আতঙ্কিত হয়ে প্রধান ফটকের তালা ভেঙে বের হওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় পদদলিত হয়ে অর্ধশতাধিক শ্রমিক আহত হন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও থানা পুলিশ গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
আমির শার্টস গার্মেন্টসের এইচআর কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, ভূমিকম্পের সময় আমি নিজেই মাইকিং করছিলাম কেউ যেন আতঙ্কিত না হয়। এ সময় কেউ একজন বলে উঠলো ভবনে ফাটল ধরেছে। এ সময় শ্রমিকরা আতঙ্কিত হয়ে বের হতে গিয়ে পদদলিত হয়ে ২০-২৫ জনের মতো আহত হয়েছেন। আমরা তাদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছি।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্টেশন কর্মকর্তা দিদারুল আলম জাগো নিউজকে বলেন, ভূমিকম্পের সময় আতঙ্কিত হয়ে হুড়োহুড়ি করে বের হতে গিয়ে পদদলিত হয়ে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। তবে এর সংখ্যা এখনি বলা যাচ্ছে না।
চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্মকর্তা ডা. গোলাম কিবরিয়া টিপু জাগো নিউজকে বলেন, আমির শার্টস গার্মেন্টসের ঘটনায় মোট ৮০ জন শ্রমিককে আহত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে। এদের মধ্যে তিনজনকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকি ৭৭ জন চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি গেছেন।
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. আজিজুর রহমান সিদ্দিকী জাগো নিউজকে বলেন, এখানে যাদের আনা হয়েছে তাদের মধ্যে চৌদ্দগ্রামের ঘটনায় ছয়জন, কুমিল্লা ইপিজেড থেকে চারজন এবং কুমিল্লা সরকারি মহিলা কলেজ থেকে দুজনকে আনা হয়েছে। এদের মধ্যে অধিকাংশই ভয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছেন। আমরা চিকিৎসা দিচ্ছি। এরই মধ্যে কয়েকজন চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফিরেছেন।