তারা সাতজন দশম শ্রেনীর ছাত্র। নীলফামারীর সৈয়দপুর সদর থেকে ট্রেনযোগে রাজশাহী এসেছিলেন বেড়াতে। রাজশাহী এসে একটি ট্রলার যোগে পদ্মা নদীর খানকার চরে ঘুরতে গিয়েছিলেন। ট্রলারটি তাদের চরে নামিয়ে দিয়ে চলে যায়। কথা ছিলো ঘোরাঘুরি শেষে ট্রলার চালককে ফোন করলে তাদের নিয়ে যাবে। কয়েকঘন্টা চরে ঘোরাঘুরি করে ট্রলার চালককে ফোন করলে নানা অজুহাতে ট্রলার চালক আর আসেননি। ইতোমধ্যে সন্ধ্যা ঘনিয়ে এসেছে। চরে একজন কৃষক থেকে জানতে পারেন ট্রলার চালকের উদ্দেশ্য যদি খারাপ হয় তবে রাতে তাদেরকে নিতে আসবে এবং তাদের জিনিষপত্র টাকা পয়সা সব লুট করে নিতে পারে। এমন অবস্থায় ভীত সন্ত্রস্ত নিরুপায় হয়ে নয়ন নামে একজন ছাত্র ২ ডিসেম্বর শনিবার ২০২৩ বিকেল পাঁচটায় ‘জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯’ নম্বরে ফোন করে তাদের উদ্ধারের ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানান।
এমন তথ্যের ভিত্তিতে ৯৯৯ কলটেকার কনস্টেবল সজীব রাজশাহী মতিহার থানায় এবং রাজশাহী নৌ পুলিশ নিয়ন্ত্রণ কক্ষে ঘটনাটি দ্রুত উদ্ধারের ব্যবস্থা নেয়ার জন্য জানায়। পরবর্তীতে ৯৯৯ ডেসপাচার এসআই আনিসুর রহমান কলার এবং উদ্ধার সংশ্লিষ্ট সবার সাথে যোগাযোগ করে উদ্ধার তৎপরতার আপডেট নিতে থাকেন।
সংবাদ পেয়ে রাজশাহী রিজিওন নৌ পুলিশের একটি উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থল খানকার চরে গিয়ে আটকে পড়া সাত ছাত্রকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে পৌঁছে দেয়। নৌপুলিশ উদ্ধারকারী দলের নেতৃত্ব দেয়া এস আই শাহরিয়ার ৯৯৯কে এ বিষয়ে নিশ্চিত করেন।