দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৪ (কাহালু ও নন্দীগ্রাম) আসনে বাংলাদেশ কংগ্রেস থেকে আলোচিত ইউটিউবার আশরাফুল হোসেন আলমের (হিরো আলম) জমা দেওয়া মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে।
রোববার (০৩ ডিসেম্বর) দুপুরে বগুড়া জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন৷
তিনি জানান, আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম রাজনৈতিক দলের প্রার্থী হয়েও মনোনয়নপত্রে নিজেকে স্বতন্ত্র দাবী করেছেন।
সেই ক্ষেত্রে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে মোট ভোটারের এক শতাংশ সমর্থন ফরমও তিনি জমা দেননি৷ মনোনয়নপত্রের হলফনামায় আশরাফুল হোসেন সম্পদের বিবরণী জমা দেননি৷ এছাড়াও তিনি মনোনয়নের হলফনামাতে স্বাক্ষরই করেননি। এজন্য তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হলো।
তিনি আরও জানান, মনোনয়নপত্র বাতিলের আদেশ উঠিয়ে আশরাফুল হোসেন আগামী ৫ থেকে ৯ ডিসেম্বরে মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনে আবেদন করতে পারবেন।
এরআগে বুধবার (২৯ নভেম্বর) বগুড়া-৪ আসনে সুপ্রিম পার্টির থেকে মনোনয়ন তুলেছিলেন হিরো আলমের পক্ষে তার ব্যক্তিগত সহকারী সুজন রহমান শুভ। পরবর্তীতে রাতারাতি তা পাল্টিয়ে বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) বাংলাদেশ কংগ্রেস থেকে মনোনয়ন জমা দেন হিরো আলম ৷
বগুড়া সিনিয়র নির্বাচন অফিসারের কার্যালয় থেকে পাঠানো দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে মনোনয়নপত্র গ্রহণকারীর সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকাতে দেখা যায়, বগুড়া-৪ (কাহালু ও নন্দীগ্রাম) আসনে মোট ১২জন প্রার্থী মনোনয়ন উত্তোলন করেছেন। ১২ জনের তালিকার ১১ নম্বরে আশরাফুল হোসেন আলমের নাম রয়েছে। সেখানে আশরাফুল আলমের নামের পাশে দলের নাম সুপ্রিম পার্টি এবং তার বাড়ির ঠিকানা এরুলিয়া লেখা রয়েছে।
দল পরিবর্তনের বিষয়ে হিরো আলম জানার, সুপ্রিম পার্টি দলের নাম দিয়ে ভুল করে মনোনয়ন তুলেছিলাম ৷ পরে সেখান থেকে নাম সরিয়ে বাংলাদেশ কংগ্রেস দল থেকে মনোনয়ন দাখিল করি। এই দলে এবার আমার মার্কা ডাব।
এরআগে গত ১ ফেব্রুয়ারি বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) ও বগুড়া-৬ (সদর) আসনের উপ-নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়েছিল। পরে নির্বাচন কমিশনে আপিল করে প্রার্থিতা ফেরত না পেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন।
সে সময় হাইকোর্টের আদেশে তিনি নির্বাচনে ফিরে আসেন। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে বগুড়া-৪ আসনে একতারা প্রতীকে ৮৩৪ ভোট কম পেয়ে আওয়ামী লীগ সমর্থিত জাসদের প্রার্থী এ কে এম রেজাউল করিমের কাছে হারেন তিনি।