ইদানিং খুব কান্না পায়
দুচোখ ভরে জল এসে যায়।
বিপন্ন মানুষের সামান্য গৌরব,
তাদের টুকরো টুকরো প্রতিবাদ, তুচ্ছ স্বপ্ন বুনন,
কিংবা, নিত্যদিনের নগন্য ঘটনা
সবকিছুতেই দুচোখে জল এসে যায়।
সেদিন জবরদস্তি লড়াই হলো ক্রিকেটের মাঠে-
টাইগারদের বলিহারি থাবায়
গুঁড়িয়ে গেল ইংরেজদের পুরোনো অহঙ্কার,
অমনি আমার দু'চোখের কোণায়
জল এসে গেল।
বাবার রিকশায় ইস্কুলে যাওয়া সেই দরিদ্র মেয়েটি যেদিন
মেডিকেলে পড়ার ছাড়পত্র হাতে
কলেজের প্রধান ফটক পেরিয়ে
দৃপ্তপায়ে হেঁটে গেল অন্দরে
সেদিনও আমার দুচোখ ভরে জল এসেছিল।
জল এসেছিল সেদিনও
যেদিন ভ্যান চালকের একরত্তি মেয়ে ফুলপরী
সজোরে চড় কষিয়েছিল আধিপত্যবাদের গালে
আর প্রকম্পিত হয়েছিল এক বিশ্ববিদ্যালয়ের
আবাসিক হলের ভিত।
আর ওই যে সেই বিদ্যালয়ের বেবাক মেয়েরা--
যারা অগ্নিস্ফুলিঙ্গের মত প্রতিবাদে নেমেছিল রাস্তায়
বিচূর্ণ করেছিল অবিমৃশ্যকারী এক বিচারকের নির্লজ্জ দম্ভের
সেদিনও কপোল ভিজেছিল দু'চোখের জলে।
ছোটবেলায় ভীষণ অভিমানী ছিলাম
জলভরা মেঘের মত সেসব অভিমান সামান্যতেই ঝরে পড়তো বৃষ্টির ফোঁটায়
দুচোখের কোণা বেয়ে।
তবে কি আমি এতকাল পরে
আবার সেই শৈশবে ফিরে যাচ্ছি?
না-কি সমাজের রূঢ় বাস্তবতায়
দিনে দিনে অদ্ভুত এক রোগী হয়ে যাচ্ছি...
মনোবৈকল্যের রুগী!