মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেছেন, অনুমতি না নিয়ে বিভিন্ন মামলার আসামিরা মানববন্ধন করার চেষ্টা করে, তাহলে আসামিদের গ্রেপ্তারে কোনো বাধা নেই। বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মিন্টু রোডে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপ কালে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল মেনে নির্বাচনে না এসে, অবাধ নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে একটি দল। তারাই আবার পুলিশ হত্যা মামলাসহ বিভিন্ন মামলার আসামি। তফসিল ঘোষণার পর থেকে আমরা নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনায় কাজ করছি। যারা নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে চায়। সুষ্ঠু নির্বাচনের অন্তরায় হয়ে বিভিন্ন জায়গায় গাড়িতে আগুন লাগানো, যানবাহন চলায় বাধা, পুলিশের ওপর হামলা, রাজারবাগ হাসপাতালের গাড়ি ভাঙচুর, প্রধান বিচারপতির বাস ভবনে হামলা করেছে। তারাই কিন্তু এখন আবার অবরোধ ডেকে নাশকতা করছে।
তিনি বলেন, একদিকে তারা নির্বাচনে আসে না। প্রতিদিনই ককটেল নিক্ষেপ করছে। গাড়িতে আগুন দিচ্ছে, মানুষের সম্পদ নষ্ট করছে। যারা নাশকতা মামলার আসামি, গাড়ি পোড়া মামলা, প্রধান বিচারপতির বাস ভবনে হামলা মামলা ও পুলিশের ওপর হামলা ও হত্যা মামলার আসামি যাদের অনেককে আমরা গ্রেপ্তার করেছি। অনেকের নাম আমরা পেয়েছি। তারা যেখানেই থাকুক তাদের গ্রেপ্তার করা হবে।
বিএনপি যদি অনুমতি না নিয়ে মানববন্ধন করার চেষ্টা করে, এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যদি কোনো দল ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়ে জোর করে ওই সকল মামলার আসামিরা মানববন্ধন করতে চায়, আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যে রুটিন কাজ বিভিন্ন মামলার আসামি, ওয়ারেন্টের আসামি তাদের গ্রেপ্তারে আমাদের কোনো বাধা নেই।
মানববন্ধনের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের অনুমতি নিয়েছে কিনা জানতে চাইলে ডিবি প্রধান বলেন, অনুমতি নিয়েছে কিনা বলতে পারছি না। তবে আমার মনে হয় নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল মেনে তারা তো নির্বাচন করছে না। সে ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের তোয়াক্কা করবে কেন। তারা নির্বাচন করলে অনুমতি নিতো। তারা নির্বাচন না করে নির্বাচনকে বানচাল করতে, বাধাগ্রস্ত করতে তারা চেষ্টা করছে।
তাই আমরা মনে করি, আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাজ হচ্ছে মানুষের জানমালের ক্ষতি যেন কেউ না করতে পারে, অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনে কেউ যেন বাধা সৃষ্টি করতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখা। পাশাপাশি আমাদের নিয়মিত কাজ বিভিন্ন মামলার ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করা।