৩ ওভারে ৪ রান করে লাঞ্চে গেল নিউজিল্যান্ড। জেতার জন্য নিউজিল্যান্ডকে ১৩৭ রান করতে হবে । সকালের কুয়াশার সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়েও যেন নেমে এলো আধার। যতক্ষণে মিরপুরে সূর্যের দেখা মিলেছে, ততক্ষণে অলআউট হয়ে গেছে স্বাগতিকরা।
জাকির হাসান ছাড়া আর কোনো ব্যাটার করতে পারেননি বিশ রানও। নিউজিল্যান্ডকে দেড়শ ছাড়ানো লক্ষ্যও দিতে পারেনি বাংলাদেশ।
মিরপুরের শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের শেষটিতে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ড। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ১৭২ রানের জবাবে ১৮০ রান করে কিউইরা। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ অলআউট হয়েছে ১৪৪ রানে। জিততে হলে ১৩৭ রান করতে হবে কিউইদের।
২ উইকেট হারিয়ে ৩৮ রান নিয়ে চতুর্থ দিন শুরু করে বাংলাদেশ। প্রথম ওভারে এক রান নিয়ে স্ট্রাইকে থাকেন জাকির হাসান। পরের ওভারে টিম সাউদিকে দুই বলে দুটি চার হাঁকান তিনি। এরপর মাঝখানে এক ওভার বিরতি দিয়ে প্রতিটিতেই একটি করে চার হাঁকান বাংলাদেশি দুই ব্যাটার।
কিন্তু মুমিনুলের বিদায়ে সেটি শেষ হয়। এজাজ প্যাটেলের বলে পুল করতে গেলে তার প্যাডে লাগে বল। আম্পায়ারও আঙুল তুলে দেন সঙ্গে সঙ্গে। ১৯ বল খেলে ১০ রানে আউট হন তিনি। এরপর মুশফিকুর রহিমও ফেরেন দ্রুত।
আগের ম্যাচে হ্যান্ডেলড দ্য বল আউট হয়ে বেশ আলোচনার জন্ম দেন তিনি। এবার মিচেল স্যান্টনারের বলে ক্যাচ দেন ড্যারল মিচেলের হাতে। স্যান্টনারের শিকার হয়ে ফেরেন শাহাদাৎ হোসেন দীপুও। ১১ বলে ৪ রান করে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন তিনি।
একপ্রান্ত আগলে রেখে এর মধ্যেই হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন জাকির হাসান। কিন্তু তার সঙ্গীরা কেউই স্থায়ী হতে পারলেন না। মেহেদী হাসান মিরাজ এজাজ প্যাটেলকে তুলে মারতে গিয়ে মিড উইকেটে দাঁড়ানো স্যান্টনার ক্যাচ নেন। জাকিরের সঙ্গে নুরুল হাসান সোহান ছিলেন শেষ স্বীকৃত ব্যাটার।
কিন্তু তার তিন বলের ইনিংস ছিল অস্বস্তির। আম্পায়ারের দেওয়া আউটে রিভিউ নিয়ে বেঁচে যাওয়ার পরের বলেই সাজঘরে ফিরতে হয় সোহানকে। এ দফায়ও তিনি এলবিডব্লিউ হন এজাজ প্যাটেলের বলে। এরপর কিছুক্ষণ টেল এন্ডারদের নিয়ে লড়াই করেন জাকির। নবম ব্যাটার হিসেবে আউট হওয়ার আগে ৬ চার ও ১ ছক্কায় ৮৬ বলে ৫৯ রান করে সাজঘরে ফেরত যান তিনি।
তবে তার বিদায়ের পর শেষ উইকেট জুটিতে ১৬ রান যোগ করেন তাইজুল ইসলাম ও শরিফুল ইসলাম। ৬ বলে ৮ রান করে এজাজ প্যাটেলকে এগিয়ে এসে খেলতে গিয়ে স্টাম্পিং হন শরিফুল। ২১ বলে ১৪ রানে অপরাজিত থাকেন তাইজুল। ১৮ ওভার বল করে ৫৭ রান দিয়ে ৬ উইকেট নেন এজাজ। তিনটি উইকেট পান মিচেল স্যান্টনার, একটি টিম সাউদি।