ইমরান খান এবং তার রাজনৈতিক দল পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফের (পিটিআই) ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মেহমুদ কুরেশিকে রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্য ফাঁসের অভিযোগে অভিযুক্ত করেছেন পাকিস্তানের একটি বিশেষ আদালতের বিচারক আবুয়াল হাসনাত জুলকারনাইন।
অভিযোগে বলা হয়, ইমরান ও কুরেশি সরকার পরিচালনা করার সময় রাষ্ট্রীয় গোপন নথির তথ্য(সাইফার) ফাঁস করে অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট লঙ্ঘন করেছেন।
২৭শে মার্চ ইমরান খান একটি গোপন কূটনৈতিক বার্তার চিঠি জন সমাবেশের সামনে তুলে ধরেছেন। এর মধ্য দিয়ে তিনি গোপন কূটনৈতিক বার্তাকে নিজের স্বার্থ হাসিলে ব্যবহার করেছেন। যদিও সেই জনসভায় চিঠিতে কী লেখা আছে তা প্রকাশ করেন নি তিনি।
এ বছর এপ্রিলের ১০ তারিখ অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর আরেক জনসভায় সেই চিঠির প্রসঙ্গ টেনে ইমরান বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিভাগের প্রধান ডোনাল্ড লু’র সঙ্গে পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূতের একটি বৈঠকে ইমরান খানকে ক্ষমতা থেকে সরানোর ষড়যন্ত্র হয়। সেই বৈঠকে লু বলেছিলেন ইমরান খানকে যদি ক্ষমতা থেকে সরানো হয়, তবে পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধান বিরোধী দল পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজের (পিএমএলএন) চেয়ারম্যান নওয়াজ শরিফসহ দলের অন্যান্য জেষ্ঠ্য নেতাদের দুর্নীতির মামলা থেকে অব্যাহতি পেতে সহায়তা করবে যুক্তরাষ্ট্র। সেই চিঠি নিয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যমে একটি বিস্তারিত প্রতিবেদনও ছাপা হয় যেখানে ইমরানের দাবির প্রতিধ্বনি পাওয়া যায়।
তবে আদালতের শুনানিতে ইমরান ও কুরেশির আইনজীবীরা দাবি করেছেন, তাদের মক্কেলরা নির্দোষ এবং ‘বিশেষ মহলের’ চক্রান্তের শিকার। মূলত সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া ও মার্কিন কূটনীতিক ডনাল্ড লুকে বাঁচাতেই এই গোটা নাটকটি সাজানো হয়েছে।