গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে অধিকৃত পশ্চিম তীরেও ইসরায়েলের সামরিক অভিযান বেড়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে ওই অভিযানের তীব্রতাও। পশ্চিম তীরের উত্তরে অবস্থিত জেনিন শহরটি হামাসের আক্রমণের আগে ওই সামরিক অভিযানগুলির কেন্দ্রবিন্দু ছিল।এখন ওই শহর সাপ্তাহিক যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে।
সেনাবাহিনীর হাত থেকে বাঁচতে পালিয়ে আসা যে ক’জন তরুণের সঙ্গে মঙ্গলবার আমার দেখা হয়েছিল, তাঁরা কিন্তু প্রবীণদের দৃষ্টিভঙ্গির প্রতি বেশ সন্দিহান। ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রপতি এবং ইসরায়েলের সামরিক অভিযান থেকে সুরক্ষা চেয়ে বিশ্বের কাছে তাঁর (ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রপতির) আবেদনের বিষয়টি নিয়েও তারা (ওই তরুণেরা) উপহাস করেছে।
ওই তরুণদের ঠিক পিছনেই ইসরায়েলের সাঁজোয়াযুক্ত বুলডোজার এবং সামরিক জিপ জেনিনের শরণার্থী শিবিরে ঢোকার রাস্তার চারপাশে ঘোরাফেরা করছিল। শহর জুড়ে বিস্ফোরণ এবং গোলাগুলির আওয়াজ নির্জন রাস্তায় প্রতিধ্বনিত হয়ে চলছিল।
এই শহরের দেয়ালগুলো ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে নিহত তরুণদের ছবি দিয়ে ঢাকা। তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ হামাসের মতো সশস্ত্র গোষ্ঠীর সদস্য, যাদের যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্য বহু দেশ সন্ত্রাসী সংগঠন হিসাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।
একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, মঙ্গলবারই সেখানে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে, যাঁদের মধ্যে চারজন মারা গিয়েছেন ড্রোনের হামলায়।
ইসরায়েলের দাবি, তারা নিশানা করছে সেই সব সশস্ত্র গোষ্ঠীর সদস্যদের, যাদের হাতে ইসরায়েলিদের রক্ত লেগে আছে।
সূত্র : বিবিসি বাংলা