logo
আপডেট : ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৩ ১৮:৪০
আ. লীগের বন্ধুদের চলে যেতে হবে: ব্যারিস্টার খোকন
নিজস্ব প্রতিবেদক

আ. লীগের বন্ধুদের চলে যেতে হবে: ব্যারিস্টার খোকন

 বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেছেন, সময় চলে এসেছে আওয়ামী লীগের বন্ধুরা চলে যেতে হবে। এটি বিএনপির নয়, জনগণের আন্দোলন।

শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে ‘ভোট বাঁচাও- দেশ বাঁচাও- গণতন্ত্র রক্ষা কর’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।  

আলোচনা সভাটির আয়োজন করে গণ অধিকার পরিষদ (ডক্টর রেজা কিবরিয়া ও ফারুক হাসান) অংশ।

ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, আমরা যে নিরপেক্ষ সরকার চাচ্ছি সেটা দিতে আপনাদের সমস্যা কী। সমস্যা হচ্ছে জনসমর্থনের দিক থেকে আওয়ামী লীগ দেউলিয়া হয়ে গেছে। কদিন আগেই ঢাকা-১৭ ও চট্টগ্রাম ইলেকশন হয়েছে। সেখানে কি কেউ বাধা দিয়েছে৷ মানুষ ভোট বর্জন করেছে। সেখানে মাত্র কয়েক শতাংশ ভোট পড়েছে। '

আগের মতো ভোট আওয়ামী লীগের নেই এমন মন্তব্য করে খোকন বলেন, ‘যে কারণে জনসমর্থনের ভয়ে সরকারি সম্পদ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবহার করছে তারা। তবে আমাদের আন্দোলন চলবে, নির্বাচন নিয়ে জনগণের কোনো উৎসাহ নাই। আমি মনে করি নির্বাচন হবে না, আর হলেও আপনারা থাকতে পারবেন না। কারণ জনগণের বিরুদ্ধে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত কোনো স্বৈরশাসক থাকতে পারে নাই’।

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আরও বলেন, আমরা সঠিক পথে আছি। আন্দোলনও সঠিক পথে আছে। আর আওয়ামী লীগ বিপদে আছে। দিক হারিয়ে ফেলেছ আওয়ামী লীগ। সামনের দিনগুলোতে হিসেবে তারা আরো বেশি জনবিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে।  

৯৬ সালে জাতীয় সরকারের দাবিতে আওয়ামী লীগ যে আন্দোলন করেছিল, বর্তমান আন্দোলন তার থেকেও কঠিন হবে। যে পর্যন্ত দাবি আদায় না হবে সে পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলেও জানান তিনি।  

ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, 'যেই ৩০০ আসনে আওয়ামী লীগ সরকারের এমপিরা ইলেকশন করছেন, তাদের সম্পদের বর্ণনা আমরা দেখতে পাচ্ছি। সব মিলিয়ে কত হাজার কোটি টাকা হবে। আর যারা ইলেকশন করেন নাই তাদের  মধ্যে এক জিকে শামীমের কাছেই ৪০০ কোটি টাকা। এমন কত লাখ নেতা আছে আওয়ামী লীগে!'

তিনি বলেন, একসময় বাংলায় পর্তুগিজরা এসে লুটপাট করত আর এখন আওয়ামী লীগ ভোট ছাড়া ক্ষমতা দখল করে রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুটপাট করছে।  

বাংলাদেশ ব্যাংকের টাকা চুরির বিষয়ে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে যে ৫০০ কোটির মতো টাকা ডিজিটালি চুরি হয়ে গেছে সেটার কি কোনো কিছু আমরা জানতে পেরেছি, কীভাবে ৫০০ কোটি টাকা চুরি হয়ে গেল ডিজিটাল কায়দায়? 

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক কর্নেল অব. মিয়া মশিউর রহমান।  

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ১২দলীয় জোটের প্রধান ও জাতীয় পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টির) সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, গণঅধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব ফারুক হাসান, ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক মুভমেন্ট (এনডিএম) চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট সদস্য আশরাফ আলী আকন।