logo
আপডেট : ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৩ ১৭:২২
ধ্বংসাত্মক রাজনীতি নির্মূল করে একটি মানবিক রাষ্ট্র গঠনই বিজয় দিবসের প্রত্যয় : তথ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক

ধ্বংসাত্মক রাজনীতি নির্মূল করে একটি মানবিক রাষ্ট্র গঠনই বিজয় দিবসের প্রত্যয় : তথ্যমন্ত্রী

বাংলাদেশকে একটি মানবিক ও সামাজিক কল্যাণ রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলা এবং দেশ থেকে নেতিবাচক, ধ্বংসাত্মক রাজনীতি চিরতরে নির্মূল করাকে বিজয় দিবসের প্রত্যয় হিসেবে বর্ণনা করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। 

রোববার সকালে রাজধানীর কাকরাইলে তথ্য ভবন মিলনায়তনে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অধীন চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর (ডিএফপি) আয়োজিত ‘বিজয়ের ৫২ বছর’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো: হুমায়ুন কবীর খোন্দকার সভায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতা দেন। ডিএফপি’র মহাপরিচালক স. ম. গোলাম কিবরিয়ার সভাপতিত্বে অতিরিক্ত সচিব মোঃ ফারুক আহমেদ, বিটিভি’র মহাপরিচালক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম, প্রেস ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ এবং গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. নিজামূল কবীর আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

জাতিগত উন্নয়নের জন্য শুধুমাত্র বস্তুগত নয় মানুষের আত্মিক উন্নয়নও অত্যন্ত প্রয়োজন উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা অর্থনৈতিকভাবে এখন আর দরিদ্র নই তবু অনেকের চেয়ে পিছিয়ে। কিন্তু সামাজিক ও পারিবারিক বন্ধন, মূল্যবোধে আমরা অনেকের চেয়ে এগিয়ে। পাশাপশি প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা একটি সামাজিক রাষ্ট্র গঠন করার লক্ষ্যেই বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, স্বামী পরিত্যক্তা ভাতা, দরিদ্র্য জনগোষ্ঠীর জন্য মাতৃত্বকালীন ভাতাসহ নানা ধরণের ভাতা চালু করেছেন। এভাবে দেশকে আমরা একটি মানবিক, সামাজিক কল্যাণ রাষ্ট্রে রূপান্তর করতে চাই, যেখানে সমস্ত আর্ত-পীড়িত, দরিদ্রদের দায়িত্ব রাষ্ট্র গ্রহণ করবে।’

সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে বাংলাদেশ সমস্ত প্রতিকূলতাকে পেছনে ফেলে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে চলছে। এখন জিডিপিতে আমরা বিশ্বের ৩৫তম আর পিপিপিতে ৩১তম অর্থনীতির দেশ। ২০৩০ সাল নাগাদ বাংলাদেশ ২৫ কিম্বা ২৭তম অর্থনীতির দেশে রূপান্তরিত হবে। এই উন্নয়ন অগ্রগতি আমরা আরো বহুদূর এগিয়ে নিতে পারতাম যদি দেশে ধ্বংসাত্মক, নেতিবাচক, গুজব ছড়ানোর রাজনীতি না থাকতো, কারণ এগুলো দেশের অগ্রগতিকে শ্লথ করেছে। আজকে রাজনীতির নামে মানুষ, গাড়ি-ঘোড়া পোড়ানো হচ্ছে, ট্রেন লাইন কেটে ফেলা হচ্ছে, ট্রেনে অগ্নিসংযোগ করা হচ্ছে। এগুলো কোনো রাজনৈতিক কর্মকান্ড নয়, সন্ত্রাসী কর্মকান্ড।’ 

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘রাজনীতির নামে এই সন্ত্রাস আমাদের উন্নয়ন অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্ত করেছে এবং করছে। সুতরাং দেশকে যদি স্বপ্নের ঠিকানায় নিয়ে যেতে হয় তাহলে রাজনীতির নামে এই সন্ত্রাস চিরদিনের জন্য বন্ধ করতে হবে। আমরা সেটি বন্ধ করতে বদ্ধপরিকর। সুতরাং আজকে বিজয় দিবসে আমাদের প্রত্যেকের শপথ হওয়া প্রয়োজন এই নেতিবাচক, ধ্বংসাত্মক রাজনীতিকে চিরতরে দেশ থেকে নির্মূল করতে হবে।’ 

অনুষ্ঠানে শুরুতে ডিএফপি নির্মিত ‘অপরাজেয় বাংলাদেশ’ গীতিনাট্য চলচ্ছবি প্রদর্শন এবং আলোচনা শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। 

এর আগে চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের পুরনো ভবনের দু’টি তলা সংস্কার করে একটি স্যুটিং ফ্লোর এবং ভবনের সামনে মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতাভিত্তিক আলোকচিত্র প্রদর্শনী উদ্বোধন করেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো: হুমায়ুন কবীর খোন্দকার।