logo
আপডেট : ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০৯:২৯
'মিত্রদের মন খারাপ শরিকরাও হতাশ'
বিবিসি বাংলা

'মিত্রদের মন খারাপ শরিকরাও হতাশ'

আওয়ামী লীগের সাথে জাতীয় পার্টি ও শরিক দলগুলোর আসন সমঝোতা নিয়ে যুগান্তরের প্রধান খবর, ‘মিত্রদের মন খারাপ শরিকরাও হতাশ’। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, দফায় দফায় বৈঠক ও আলোচনার পর শেষ মুহূর্তে জোট ও শরিকদের জন্য ৩২টি আসনে ছাড় দিয়েছে আওয়ামী লীগ।

এই আসন বণ্টন নিয়ে মন খারাপের সুর বইছে ১৪ দলীয় জোট শরিকদের মধ্যে। গতবারের চেয়ে আসন কমিয়ে এবার তিনটি দলকে মাত্র ছয়টি আসন দেওয়া হয়েছে। আসন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আবদারও কানে তোলেনি ক্ষমতাসীনরা। এতে চরম ক্ষুব্ধ শরিক দলের নেতারা।

অন্যদিকে জোট ও শরিকদের বাইরে নির্বাচনে আসা কয়েকটি ‘মিত্র’ দলেরও প্রত্যাশা ছিল আওয়ামী লীগের সঙ্গে আসন সমঝোতার। কিন্তু তাদের সঙ্গেও শেষ পর্যন্ত আসন নিয়ে কোনো সমঝোতা হয়নি। ভোটের মাঠে থাকা ইসলামী দলগুলোর কিছু চাওয়া থাকলেও শেষ পর্যন্ত আশা পূরণ হয়নি।

বিএনপিবিহীন এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ শুরু থেকেই ছিল কৌশলী ভূমিকায়। প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনের স্বার্থে শরিক ও মিত্রদের আসন ছাড়ের বিষয়ে নানা হিসাবনিকাশ মিলিয়েছে দলটি। তবে দলের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বিষয়ে তারা শুরু থেকেই নমনীয় ছিল। 
এদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নিয়ে সমকালের প্রধান শিরোনাম, ‘১০১ আসনে নৌকার ‘জয়ে বাধা’ স্বতন্ত্র’।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, এবারের নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ দেখাতে আওয়ামী লীগ নানা কৌশল হাতে নিলেও অর্ধেক সংখ্যক আসনও ‘প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ’ করা যাচ্ছে না।
প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত হওয়ার পর সারাদেশের ৩০০টি আসনের মধ্যে ১০১টিতে লড়াইয়ের আভাস মিলেছে। বাকি আসনে ভোট হতে যাচ্ছে অনেকটাই একতরফা। এবার ২৭টি নিবন্ধিত দল অংশ নিলেও মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। অন্তত ১১ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর জয়ের পথে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন এই স্বতন্ত্ররাই।
বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটসহ কট্টর ডানপন্থি ও কট্টর বামপন্থি হিসেবে পরিচিত একাধিক রাজনৈতিক দল এবারের নির্বাচন বর্জন করছে।

এই অবস্থায় কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি নিয়ে শঙ্কিত ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে স্বতন্ত্র প্রার্থী মাঠে ধরে রাখছে তারা। অবশ্য নির্বাচন কমিশনের (ইসি) হিসাবে ৪৪টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের মধ্যে ২৭টি দল নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে ভোটের মাঠের চিত্র ভিন্ন। কেননা ভোটের মাঠে যতটুকু প্রতিদ্বন্দ্বিতা হওয়ার সম্ভাবনা, তার সবটুকুই আওয়ামী লীগের স্থানীয় পদধারী স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ঘিরে।

দ্য ডেইলি স্টার
এদিকে জাতীয় পার্টির সাথে আসন সমঝোতা নিয়ে দ্য ডেইলি স্টারের প্রথম পাতার খবর, ‘Pinned down, JP settles for 26’ অর্থাৎ ‘জাতীয় পার্টিকে ২৬ আসন দেয়ার ব্যাপারে সমঝোতা’

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে ২৬টিরও বেশি আসন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাহারের বিষয়ে রাজি করাতে ব্যর্থ হয়েছে জাতীয় পার্টি।

তবে শেষ মুহূর্তের প্রচেষ্টার কারণে তারা ঢাকার একটি নির্বাচনী এলাকার আসনে নিজেদের প্রার্থীকে বসাতে পেরেছে, যিনি আওয়ামী লীগের সাথে কোন প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়াই উৎরে যেতে পারবেন।

গত দুই সপ্তাহ ধরে দুই দলের মধ্যে দফায় দফায় আলোচনার সময়, আওয়ামী লীগ ঢাকার ২০টি নির্বাচনী এলাকা থেকে তাদের কোনো প্রার্থী প্রত্যাহার করবে না বলে জানিয়ে দিয়েছিল।

শেষ মুহুর্তে, আওয়ামী লীগ ঢাকা-১৮তে মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ হাবিব হাসানকে ভোটের লড়াই থেকে সরিয়ে দিয়েছে যাতে জাতীয় পার্টির নেতা শেরিফ কাদেরের জয়ের সম্ভাবনা বেশি থাকে।

তবে জাপা নেতারা এতোদিন ধরে বলে আসছিলেন যে তারা সংসদে মাত্র ২৬টি আসনের জন্য মীমাংসা করবেন না।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ আরও নির্বাচনী এলাকা না দিলে জাপা নির্বাচনে অংশ নেবে না বলেও জানিয়েছিল।

শেষ পর্যন্ত নানা নাটকীয়তার পর সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে জাপা মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু ঘোষণা দিয়েছনে যে তার দল সব বাধা অতিক্রম করেছে এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে।

প্রথম আলো
আসন সমঝোতা ইস্যুতে প্রথম আলোর প্রথম পাতার খবর, ‘১৫ মন্ত্রী–প্রতিমন্ত্রীর আসনে নিজ দলের শক্ত স্বতন্ত্র প্রার্থী’।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, আসন্ন নির্বাচনে নিজ দলের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়তে যাচ্ছেন অন্তত ১৫ জন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রী। তাদের মধ্যে রয়েছেন, শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।

বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও মন্ত্রিসভায় ২৩ জন মন্ত্রী, ১৮ জন প্রতিমন্ত্রী ও তিন জন উপমন্ত্রী রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে তিন জন জন বাদে সবাই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন। অন্য মন্ত্রীদের আসনে একাধিক প্রার্থী থাকলেও সেগুলোতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা কম হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

স্থানীয় সূত্রের বরাত দিয়ে প্রথম আলো খবর প্রকাশ করেছে, এসব মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীর বিপরীতে যাঁরা স্বতন্ত্র হিসেবে ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছেন, তাঁদের কেউ সাবেক সংসদ সদস্য, কেউ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদ ছেড়েছেন। আবার অনেকেই দলের স্থানীয় পর্যায়ে পদধারী নেতা। এসব আসনে মন্ত্রীদের নিজ দলের শক্ত স্বতন্ত্র প্রার্থীর সঙ্গে লড়তে হচ্ছে।

এবার স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বিষয়ে নমনীয় আওয়ামী লীগ। ফলে স্থানীয় পর্যায়ের আওয়ামী লীগের অনেক নেতা–কর্মী প্রকাশ্যেই অনেক স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।

নিউ এইজ
এদিকে বিএনপিকে ভোটের লড়াইয়ের ফেরানো প্রসঙ্গে নিউ এইজের প্রথম পাতার খবর, ‘Promise of releasing all leaders fails to convince BNP to join polls, says Razzaque’ অর্থাৎ ‘সব নেতাকে মুক্তির প্রস্তাবেও রাজি হয়নি বিএনপি, বলেছেন রাজ্জাক’

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী মুহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক বলেছেন, বিএনপির আটক নেতাদের রাতারাতি মুক্তির বিনিময়ে তাদেরকে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার প্রস্তাব দেয়া হলেও দলটি তা গ্রহণ করেনি। বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল টুয়েন্টিফোরকে দেয়া সাক্ষাৎকারে আওয়ামী লীগের এই সিনিয়র নেতা এ কথা বলেন। তিনি বলেন, বিএনপিকে সাধারণ নির্বাচনে আনার জন্য অনেক চেষ্টা করা হয়েছে।

বিএনপির অভিযোগ, আওয়ামী লীগ ‘মিথ্যা’ ও ‘কাল্পনিক’ মামলায় সারাদেশে বিরোধী দলের সিনিয়র নেতাসহ ২০ হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে। এ নিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘হরতালে এখন সড়কে যানবাহন চলছে’। এই ২০ হাজার মানুষকে কারাগারে না রাখলে সড়কে যানবাহন চলতে পারতো কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।

আসন্ন নির্বাচনের তফসিল বাতিল, আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ, সংসদ ভেঙে দেওয়া এবং নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি ও তার জোট।

বণিক বার্তা
এমআরটি লাইনের নতুন প্রকল্প গ্রহণ নিয়ে বণিক বার্তার প্রধান শিরোনাম, ‘অর্থনৈতিক সংকটে পিছিয়ে যেতে পারে ৫৪ হাজার কোটি টাকার মেগা প্রকল্প’

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, দেশে চলমান অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে ৫৪ হাজার কোটি টাকার ‘মেট্রোরেলের লাইন-৫ (দক্ষিণ)’-এর মতো মেগা প্রকল্পটি গ্রহণের যৌক্তিকতা নিয়ে কাজ করছে পরিকল্পনা কমিশন।

রিজার্ভের বর্তমান অবস্থা, টাকার বিপরীতে ডলারের উত্থান, বিদেশী ঋণ পরিশোধের আসন্ন চাপ এবং সামগ্রিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রকল্পটি দুই-এক বছরের জন্য পিছিয়ে দেয়া যায় কিনা সে বিষয়ে আলোচনা চলছে।

তাড়াহুড়ো করে এত বড় প্রকল্প নেয়ার কোনো যৌক্তিকতা নেই বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরাও।

কেননা আগামী অর্থবছর থেকে বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের পরিমাণ ৪ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে। ফলে বড় প্রকল্পের জন্য নতুন করে নেয়া ঋণ অর্থনীতির ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করবে বলে তাদের আশঙ্কা।

তবে ঋণের ক্ষেত্রে সহজ শর্ত এবং তা পরিশোধে দীর্ঘ সময় নিশ্চিত করা গেলে প্রকল্পটি হাতে নেয়া যেতে পারে বলে মত দিয়েছেন কেউ কেউ।

পাতাল ও উড়াল মিলিয়ে মোট ১৭ দশমিক ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ হবে এমআরটি লাইন-৫ (সাউদার্ন রুট)।

২০২৪ সালের প্রথম দিকে কাজ শুরু হয়ে ২০৩০ সালের মধ্যে প্রকল্পটি শেষ করার পরিকল্পনা সরকারের। এ রুট নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৪ হাজার ৬১৮ কোটি টাকা।

দৈনিক আজকের পত্রিকার একটি খবর, বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে দুইজন বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। শনিবার রাতে তাদের গুলি করা হয়।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, তারা দুজনেই গরু ব্যবসায়ী ছিলেন। সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে অনুপ্রবেশ করে গরু আনতে গিয়েছিলেন। সেই সময় বিএসএফ গুলি করলে দুজনেই সীমান্তে নিহত হন।

পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে নিহততের মৃতদেহ দেশে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া চলছে বলে পত্রিকাটি উল্লেখ করেছে।