সিরিজ বাঁচানোর ম্যাচে পারছে না বাংলাদেশ। নেলসনে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে নিউজিল্যান্ডকে ২৯২ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য ছুড়ে দিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে ব্যাটিং সহায়ক পিচে রান তাড়ায় বেশ ভালো অবস্থানে আছে কিউইরা। তারা ৪১ ওভারে ৩ উইকেটে ২৬২ রান তুলে নিয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কিউইদের জয়ের জন্য দরকার ছিল ৫১ বলে ২৯ রান।
এর আগে সৌম্যর ১৫১ বলে ১৬৯ রানের মহাকাব্যিক ইনিংসে ভর করে বাঁচামরার সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৪৯.৫ ওভারে ২৯১ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ।
নেলসনের সাক্সটন ওভালে টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠান নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক টম ল্যাথাম। এনামুল হক বিজয় আর সৌম্য সরকারের জুটিটা ভাঙে পঞ্চম ওভারে দলীয় ১১ রানেই।
অ্যাডাম মিলনের বেরিয়ে যাওয়া বল ডিফেন্ড করতে গিয়ে দ্বিতীয় স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন বিজয়। ১২ বল খেলে তিনি করেন মাত্র ২ রান।
সঙ্গী হারালেও সৌম্যকে বেশ আত্মবিশ্বাসী দেখাচ্ছিল, উইল ও'রউরকের করা ইনিংসের অষ্টম ওভারে তিনটি বাউন্ডারি হাঁকান এ বাঁহাতি। কিন্তু পরের ওভারেই ফের ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। এবার সৌম্যকে রেখে ফেরেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।
বরাবরের মতো দৃষ্টিকটু আউট শান্ত। জ্যাকব ডাফির বলটি আলগাভাবে ফ্লিক করতে গেলে ব্যাটের সাইডে লেগে উঠে যায় আকাশে। সহজ ক্যাচ নেন নিকোলস। ৯ বলে বাংলাদেশ দলপতি করেন ৬ রান। দলীয় ৩৬ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
এরপর লিটন কিউই পেসার ডাফির বলে দৃষ্টিনন্দন এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে পরের বলেই কভার পয়েন্টে উইকেট বিলিয়ে আসেন। ১১ বলে করেন ৬ রান। ৪৪ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ।
সৌম্য আর তাওহিদ হৃদয়ের জুটিটা ভালোভাবেই এগোচ্ছিল। ৩৬ রানে তাদের জুটি ভাঙে দুর্ভাগ্যজনকভাবে। সৌম্যর শট বোলার ক্লার্কসনের হাতে লেগে ভেঙে যায় ননস্ট্রাইকের স্টাম্প। হৃদয় কিছুটা বাইরে ছিলেন। ১৬ বলে ১২ করে ফিরতে হয় তাকে।
সৌম্য ওয়ানডে ক্যারিয়ারের সবশেষ ৬ ইনিংসই খেলেছেন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। এর মধ্যে তিন ইনিংসে ০, একটিতে ১। সৌম্যর আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারটা রীতিমত বিষাদের ছায়ায় ঢেকে পড়েছিল। দল থেকেও বাদ পড়েন।
মাঝে আড়াই বছর ওয়ানডে দলে জায়গা পাননি। বিশ্বকাপের আগমুহূর্তে হেড কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের ইচ্ছাতে দলে ফেরেন। কিন্তু এক ইনিংস ব্যাট করে ০ উপহার দিলে তাকে আর বিশ্বকাপ দলে নেয়ার ঝুঁকি নেননি হাথুরু।
তবে বিশ্বকাপ শেষ হতেই আবার সৌম্য দলে। এবারও ফিরেই ০। মনে হচ্ছিল, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে জায়গা হারাতে পারেন।কিন্তু আরেকটি সুযোগ পেয়ে যান সৌম্য। এবার আর ভুল করেননি। ৫৮ বলে ৯ বাউন্ডারিতে পঞ্চাশ ছোঁন সৌম্য।
২০১৯ সালের জুলাইয়ে কলম্বোতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৬৯ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। এরপর আর ফিফটি পাননি। দলে আসা যাওয়ার মাঝে অবশ্য এই সময়ে খেলেছেন মোটে ৯টি ওয়ানডে, ৬টিতে করেছেন ব্যাটিং। এর মধ্যে পাঁচ ইনিংসেই দশের নিচে আউট।