বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে ৪০জন জাদুশিল্পীর অংশগ্রহণে শুরু হলো ৪ দিনব্যাপী ভ্রাম্যমান জাদু উৎসব। ঢাকা মহানগরের ১৬ টি স্থানে ২০-২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে এ উৎসব। আজ বুধবার ভার্চুয়ালি উপস্থিত থেকে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। তিনি বলেন –“সকল শিল্পের মানুষদের এক কাতারে আনা এবং এ ধরনের আয়োজনের মধ্যে দিয়ে তাদের পৃষ্টপোষকতা করার মাধ্যমে গণজাগরণ তৈরী করাই আমাদের অন্যতম লক্ষ্য”। ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে যুক্ত ছিলেন সকল যাদু শিল্পীগণ।
আজ ২০ ডিসেম্বর বিকেল ৪ টা থেকে গণজাগরণের জাদু উৎসব প্রদর্শন হয়। দুইটি দল বিভক্ত হয়ে একটি দল প্রথমে আজ বিকালে নিউমার্কেট এবং পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় টিএসসিতে জাদু প্রদর্শন করে। অন্যদল বিকেল ৪ টায় কামরাঙ্গিরচর এবং সন্ধ্যা ৬ টায় লালবাগ এলাকায় জাদু প্রদর্শন করে। উপচে পড়া ভিড় ঠেলে জাদু প্রদর্শনী উপভোগ করেন দর্শকরা। এ উৎসব আয়োজনে সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জনি।
আগামীকাল ২১ ডিসেম্বর বৃহষ্পতিবার জাদু প্রদর্শিত হবে গোলাপবাগ মাঠ এবং সংসদ ভবনের সামনে বিকাল ৪ টায় যাদু প্রদর্শন করা হবে। এরপর জোড়াপুকুর, খিলগাঁও সন্ধ্যা ৬ টায়, এবং কাওরান বাজার সন্ধ্যা ৬ টা প্রদর্শিত হয়।
বলা হয়, জাদু একটি পারফরমিং আর্ট বা পরিবেশনমূলক শিল্প। সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়- উপকরণ ব্যবহার করে অসম্ভব বিভ্রম বা আপাত দৃষ্টিতে অতিপ্রাকৃত ঘটনার জন্ম দেয়ার মাধ্যমে দর্শক-শ্রোতাদের আনন্দ দেয়াই জাদু। এগুলোকে জাদুর কৌশল, বিভিন্ন ইফেক্ট বা বিভ্রম হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়ে থাকে। যে শিল্পী জাদু প্রদর্শন করেন তিনিই জাদুকর। আমাদের দেশে ম্যাজিক হলো মানুষকে বিশেষ করে শিশুদের নির্মল আনন্দ দেয়ার কৌশল যাকে অসম্ভব কিছু দেখানোর শিল্প হিসেবে পরিগণিত করা যায়। বাংলাদেশে গ্রামীণ সার্কাসের অন্যতম আকর্ষণীয় উপাদান এই যাদু প্রদশর্নী।