পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বিএনপি একটি ভুল করেছে—রাজনৈতিক দল হিসেবে বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়ানোর জন্য তাদের নির্বাচনে অংশ নেওয়া উচিত ছিল।
আজ বৃহস্পতিবার সিলেটে নির্বাচনী প্রচার শুরুর সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা কোনো সংঘাত চাই না। আমরা শান্তি ও স্থিতিশীলতা চাই এবং গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে চাই।’
আমেরিকান অ্যাপারেলস অ্যান্ড ফুটওয়্যার অ্যাসোসিয়েশনকে (এএএফএ) চিঠি দিয়েছেন মার্কিন কংগ্রেসের সদস্যরা। ওই চিঠিতে কংগ্রেস সদস্যরা বলেন, শ্রমিকেরা যে মাসিক ২৩ হাজার টাকা মজুরি দাবি করেছিলেন, তা না মানা শুধু দুঃখজনক নয়, লজ্জাজনকও।
১৫ ডিসেম্বর মার্কিন কংগ্রেসের এই আট সদস্য এএএফএর সভাপতি ও প্রধান নির্বাহী স্টিভেন ল্যামারের কাছে এই চিঠি দিয়েছেন। এ বিষয়ে মন্ত্রীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘নিউইয়র্কে প্রতি ঘণ্টায় মজুরি ১৫ ডলার। যদি তারা বাড়িয়ে ৪৫ ডলার করতে পারে ও আদর্শ তৈরি করে, তখন আমরাও তাদের পথ অবলম্বন করব। উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে আমেরিকার মানুষ কষ্ট পাচ্ছে।’
নির্বাচন প্রসঙ্গে মোমেন বলেন, গত ১৫ বছরে দেশে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে এবং সেই উন্নয়ন নিরবচ্ছিন্ন থাকা দরকার। গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও মানবতা প্রতিষ্ঠার জন্য এই দেশের মানুষ তাদের জীবন উৎসর্গ করেছে।
এক প্রশ্নের জবাবে আব্দুল মোমেন বলেন, বিএনপি একটি ভুল করেছে—রাজনৈতিক দল হিসেবে বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়ানোর জন্য তাদের নির্বাচনে অংশ নেওয়া উচিত ছিল। ২৮ অক্টোবর থেকে পুলিশ সদস্য হত্যা এবং সরকারি ও বেসরকারি সম্পত্তিতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা উল্লেখ করে আব্দুল মোমেন বলেন, তারা একটি সুযোগ হারিয়েছে এবং গ্রহণযোগ্যতাও হারিয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে জনগণ নির্বিঘ্নে ভোট দিতে কেন্দ্রে আসবেন। অনেক শিক্ষিত মানুষ ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ভোটারদের উপস্থিতি বাড়াতে আমরা সর্বত্র যাব।’